॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা নির্বাচন ইনস্টিটিউটের আয়োজনে গতকাল ২৪শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক জিনাত আরা’র সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পুলিশ সুপার সালমা বেগম পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবু জর গিফারী এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাগণসহ প্রশিক্ষণ নিতে আসা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক জিনাত আরা তার বক্তব্যে বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন একটি ভিন্ন আঙ্গিকের নির্বাচন। যদিও অন্য নির্বাচনের সাথে অনেকাংশে মিল রয়েছে। আপনার যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন আমি আশা করব আপনারা সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করবেন। এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যে সাপোর্ট প্রয়োজন তা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে করা হবে। আমি যোগদানের পর রাজবাড়ীতে যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে সেটা সফল নির্বাচন হওয়ায় প্রশাসনিক সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে। আপনারা পূর্বের ন্যায় এবারের নির্বাচনেও সর্বমহলের প্রশংসা অর্জন করবেন বলে আমি মনে করি। এবারের নির্বাচনে কোন প্রার্থী বা ভোট কেন্দ্রে কোন মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোন ভোটার গোপন বুথ ছাড়া প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারতে পারবেন না। এই বিষয়গুলো ছাড়াও নির্বাচন সংক্রান্ত বিধি অমান্যকারীদের ক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জানাগেছে, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৫টি উপজেলার মোট ১৫টি ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৫৯৮জন ভোটার সকাল ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এই সকল ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ মোট ৭জন কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের একজন এস.আই, একজন এএসআই, তিনজন সদস্যসহ আনসার বাহিনীর ১৫জন সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও প্রত্যেক কেন্দ্রে মোবাইল টিমসহ ভোট কেন্দ্র যে থানা এলাকায় অবস্থিত সেই থানা এলাকায় অফিসার্স ইনচার্জের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত থাকবে। জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের বিশেষ ফোর্স নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রের সকল বিষয় মনিটরিং করাসহ সবসময় প্রস্তুত থাকবে। এছাড়াও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে একাধিক মোবাইল টিমসহ র্যাব সদস্যগণ নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।