॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পাওনা টাকা চাওয়ায় মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকী দেওয়ার অভিযোগে শফিকুর রহমান(৭০) নামে সিলেটের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গত ২৩শে ডিসেম্বর পাংশা থানায় জিডি হয়েছে। একই বিষয়ে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী খোন্দকার তোফাজ্জেল হোসেন নামে অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারী কর্মচারী।
জিডি সুত্রে প্রকাশ, পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়ীয়া গ্রামের খোন্দকার তোফাজ্জেল হোসেন সরকারী কর্মচারী হিসেবে ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সিলেট জেলায় চাকুরীরত ছিলেন। সেখানে চাকুরী করাকালীন সময়ে তার সাথে শফিকুর রহমানের পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয়। সেই সুবাদে শফিকুর রহমান ২০০৫ সালে ৬৪হাজার টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে তিনি ওই টাকা ফেরত চাইলে শফিকুর রহমান আজকাল করে কালক্ষেপন করতে থাকে। এর মধ্যে ২০০৮ সালে চাকুরীর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তোফাজ্জেল হোসেন অবসর নিয়ে বাড়ীতে চলে আসেন। সিলেট থেকে চলে আসার সময় শফিকুর রহমান তোফাজ্জেল হোসেনের পাওনা টাকা তার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ায় তোফাজ্জেল হোসেন মোবাইল ফোনে শফিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে শফিকুর রহমান টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং টাকা চাইলে তাকে খুন-জখমের হুমকী দেয়। গত ২২শে ডিসেম্বর দুই দফায় শফিকুর রহমান মোবাইলে ফোন থেকে তোফাজ্জেল হোসেনকে টাকা চাইলে খুন-জখমের হুমকী দেয়। এ ছাড়াও টাকা চাওয়ার জেরে শফিকুর রহমান তোফাজ্জেল হোসেনের ভাগ্নে মালুম মিয়াকেও হত্যার হুমকী দেয়। এ ঘটনায় শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে গত গত ২৩শে ডিসেম্বর ৭৪৬নং জিডি করেন।
এ ঘটনায় তোফাজ্জেল হোসেন গত ২৩শে ডিসেম্বর বিকেলে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংবাদিকদেরকে ঘটনাটি অবহিত করেন।
জিডি’র সত্যতা স্বীকার করে পাংশা থানার ওসি মোঃ শাহ জালাল বলেন, থানার এএসআই মোঃ আইয়ুব আলী জিডির ঘটনা তদন্ত করছেন।