বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ী সদরের ১৪টি ইউনিয়নে ৭০টি ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার॥প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে ডিসি

  • আপডেট সময় শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৭

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ গতকাল শুক্রবার ৬ই অক্টোবর সাপ্তাহিক সরকারী ছুটির দিনের কর্মব্যস্ত ছিলেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী। প্রধানমন্ত্রীর প্রাধিকারভূক্ত ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে চলমান গৃহ নির্মাণ কাজ তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
জানাগেছে, জেলা প্রশাসক বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সদর উপজেলার মূলঘর, বসন্তপুর, শহীদওহাবপুর ও রামকান্তপুর ইউনিয়নে চলমান গৃহ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নুরমহল আশরাফী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম মনোয়ার হোসেন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিজয় কুমার প্রামানিকসহ সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যানগণ এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক প্রথমে কোলারহাট বাজারে মূলঘর ইউনিয়নের গৃহ নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য আরসিসি খুঁটির তৈরীর কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময়ে তিনি খুঁটির ঢালাই কাজে ব্যবহৃত রডের মান ও পরিমাণ যাচাই করেন। এরপর তিনি বসন্তপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের বক্কার মন্ডলের জন্য বরাদ্দকৃত গৃহের নির্মাণ কাজে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুতকৃত আরসিসি খুঁটিসমূহ প্রত্যক্ষ করেন। পরবর্তীতে শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের বক্কারের গৃহ এবং ধুলদীজয়পুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের গৃহনির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এই ২টি গৃহের জানালা-দরজার নির্মাণ কাজ বাকী রয়েছে। সেখান থেকে পুনরায় মূলঘর ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেনের গৃহ নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য সংগৃহীত কাঠ প্রত্যক্ষ করেন। সর্বশেষ তিনি রামকান্তপুর ইউনিয়নের মুরারীপুর ও রামকান্তপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন ও হাওয়া বেগমের গৃহনির্মাণ কাজ প্রত্যক্ষ করেন। এই ২টি গৃহেরও জানালা-দরজার নির্মাণ কাজ বাকী রয়েছে।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক গ্রামাঞ্চলের অসহায় গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রাধিকারভূক্ত ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ৭০টি গৃহ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ৫টি করে গৃহ নির্মাণের বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে রাজবাড়ী জেলায় মোট ৭১১টি পরিবারকে ‘যাদের জমি আছে গৃহ নেই’ তাদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া বাবদ পরিবারপ্রতি ১লক্ষ টাকা করে ৭কোটি ১১লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
বর্তমানে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৭০টি গৃহের মধ্যে ৪০টি, পাংশা উপজেলায় ২০৬টি গৃহের বিপরীতে ১৫৬টি এবং গোয়ালন্দ উপজেলায় ৩২৭টি গৃহের বিপরীতে ৫৫টির সম্পূর্ণ ও ৯৮টির আংশিক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নে ১টি গৃহের নির্মাণ কাজ জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বন্ধ রয়েছে। অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে বালিয়াকান্দি উপজেলায় বরাদ্দকৃত ১০৮টি গৃহ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে এবং গত ১৭ই সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মিত গৃহ সমূহের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!