॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গত ১লা অক্টোবর রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উজানচর কুমড়াকান্দি ইমামবাড়ি তাজিয়া মিছিলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এএসআই সালাহ উদ্দিন(৩২) সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এছাড়া কর্তব্যরত এক কনস্টেবলও সামান্য আহত হন। খবর পেয়ে থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত এএসআই সালাহ উদ্দিনের থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানাযায়, গত রবিবার বিকেলে কুমড়াকান্দি ইমামবাড়ি থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়ে গোয়ালন্দ বাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাজিয়া মিছিলটি কুমড়াকান্দি ইমাম বাড়ি প্রবেশ করার সময় কয়েকজন উচ্ছৃংখল যুবক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ সময় কর্তব্যরত থাকায় তিনি তাদের নিবৃত করে। ক্ষুদ্ধ হয়ে উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা সংগঠিত হয়ে এএসআই সালাহ উদ্দিনকে চেয়ার ও বাটাম দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী মারপিট ও কিল-ঘুষি মেরে তাকে মাটিতে ফেল দেয়। এ সময় তার মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নেয় যুবকরা। পরে ইমাম বাড়ির ভক্ত-মুরিদানসহ আশপাশে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গোয়ালন্দ বাজার থেকে কুমড়াকান্দি আসার পথে মহাসড়কে তুচছ বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের এক পক্ষের সাবেক নেতা মোশাররফ হোসেন ওরফে কুটিনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। সেটি ইমামবাড়ি পর্যন্ত গিয়ে গড়ায়। এ সময় কর্তব্যরত এএসআই সালাহ উদ্দিন তাদেরকে নিবৃত করে কুটিনকে থাপ্পর দিয়ে বের করে দেন। এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে কুটিনসহ তার কয়েকজন বন্ধু(যারা ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত) তারা এসে অতর্কিতভাবে এএসআই সালাহ উদ্দিনের উপর হামলা করে।
কুমড়াকান্দি ইমামবাড়ি মহররম পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোকছেদ আলী বিশ^াস সাংবাদিকদের জানান, ভিড়ের মধ্যে একদল বখাটে যুবক ওই দারোগার ওপর আক্রমন করে। কারা, কি কারণে করেছে তা সবাই জানে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে চাচ্ছিনা। তবে ওই সময় আমার মতো করে দারোগাকে রক্ষার চেষ্টা করেছি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মির্জা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় গত ১লা অক্টোবর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মোশাররফ হোসেন ওরফে কুটিন খাকে প্রধান আসামী করে মোট ৮জনকে চিহিৃত ও ১০/১২জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। অপরাধী সে যেই হোক তারা শাস্তি পেতেই হবে।