॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা জাতীয় পার্টির আগামী সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাসহ রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহাদত হোসেন মিল্টন।
বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং রাজবাড়ী জেলা জাতীয় পার্টির ১নং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দৈনিক মাতৃকণ্ঠের সাথে আলাপকালে আলহাজ্ব শাহাদত হোসেন মিল্টন বলেন, ব্যবসায়িক ব্যস্ততাসহ নানা কারণে বিগত দলীয় কাউন্সিলের পর থেকে তিনি দুই-আড়াই বছর জাতীয় পার্টির স্থানীয় রাজনীতিতে প্রকাশ্যে সরব ছিলেন না। তবে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকাসহ নিভৃতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নে গেছেন, নেতাকর্মীদের ও সংগঠনের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। শীঘ্রই তিনি জোরালোভাবে মাঠে নামবেন এবং জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিতব্য দলীয় কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যদি তাকে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে তিনি রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য পদেও নির্বাচন করবেন।
তিনি আরো বলেন, বিগত দলীয় কাউন্সিলের পূর্বে তিনি জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীক কাজে মাত্র ১৭দিনের বিদেশ সফরে থাকার সুযোগে দলের একটি অংশ সুকৌশলে পার্টির চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে নামসর্বস্ব একটি কমিটি পাশ করিয়ে আনে। সেই কমিটির নেতারা শুধুমাত্র নিজেদের আখের গোছানো ছাড়া দলের জন্য কিছুই করেনি। গত রোজার ঈদে কিছু সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীকে নিয়ে একটি ইফতার পার্টি করা ছাড়া এই দুই-আড়াই বছরে তারা কোন কাজই করেনি। এমনকি আজ পর্যন্ত জেলা কমিটির একটা মিটিং পর্যন্ত করতে পারেনি। বলতে গেলে, সংগঠনকে তারা একেবারে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছেন। শুধুমাত্র মাঝে-মধ্যে পার্টি অফিসে বসে দু’চারজন নেতাকর্মীর সাথে চা খেলেই রাজনীতি করা হয়ে যায় না। রাজনীতির জন্য ত্যাগ লাগে, শ্রম লাগে। তাদের জন্য জাতীয় পার্টি আজ ম্লান হয়ে গেছে।
আলহাজ্ব শাহাদত হোসেন মিল্টন বলেন, তিনি যখন নেতৃত্বে ছিলেন তখন জাতীয় পার্টিকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। নিজের পকেটের টাকায় তিনি রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির যাতে ইজ্জত থাকে, সবাই যাতে সম্মানের সাথে থাকতে পারে-সে ব্যাপারে তার চেষ্টার কোন ত্র“টি ছিল না। দলকে, দলের নেতাকর্মীদেরকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছেন। দলের নেতাকর্মীরা এখনো তাকে ভালবাসেন, তাকে ফিরে পেতে চান। বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা নিয়মিত ফোন করেন, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এ জন্যই তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে ফিরে আসতে চান। এতোদিন সেভাবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রকাশ্যে সরব না থাকলেও তিনি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথেই ছিলেন। নিয়মিত রাজবাড়ীতে এসেছেন। শুধু রাজবাড়ী সদরই নয়, প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গেছেন। দলের সব পর্যায়েই তার গ্রহণযোগ্যরা রয়েছে।
তিনি মনে করেন, আগামী কাউন্সিলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে আসীন হলে তিনি জাতীয় পার্টির হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারসহ দলকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে পারবেন। পাশাপাশি পার্টির চেয়ারম্যান তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ের ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী।
তিনি আগামী দলীয় কাউন্সিল ও নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।