॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া মুন্সিপাড়া গ্রামের গৃহবধু আনোয়ারা বেগম (২৫)-এর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শ^াশুড়ী ও ননদকে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল ১৭ই সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ঃ বেথুলিয়া গ্রামের সিরাজ খানের স্ত্রী সাহিদা বেগম(৫০) ও তার মেয়ে রিমা খাতুন(২১)। পুলিশের ধারণা আঘাত জনিত কারণে গৃহবধু আনোয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আনোয়ারা বেথুলিয়া মুন্সিপাড়া গ্রামের শহিদুলের স্ত্রী।
রাজবাড়ী থানার এস.আই মোঃ জাহাঙ্গীর মাতুব্বর জানান, গত ১৬ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে আনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ অসুস্থ্য হলে তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করে কোন সুফল না পাওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে শ^শুর বাড়ীর লোকজন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত চিসিকৎক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সঙ্গে সঙ্গে স্বামী শহিদুল ইসলাম(৩৬) পালিয়ে যায়। তবে তার মৃত্যু সংক্রান্ত ব্যাপারে ডাক্তার থানায় অবহিত করলে তিনি সদর হাসপাতালে গিয়ে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীকালে দেখা যায় নিহতের চোখের নিচে আঘাতের কালো দাগ, গলায় ৮ইঞ্চি পরিমান রশি বা অন্য কিছুর পেচানো রক্ত জমাট দাগ, ডান পায়ের হাটুর নিচে ও বাম পায়ে হাটু ও কবজির মধ্যবর্তি স্থানে আঘাত জনিত কালো দাগ এবং পিঠের দিকে কালো দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আঘাত জনিত কারণে আনোয়ারার মৃত্যু হয়েছে।
পরে পলাতক শহিদুলের বোন রিমা খাতুন ও মা সাহিদা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের দাবী, তার ডায়রিয়া হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। যার নম্বর-১০১২। ধারাঃ ক্রিমিনাল প্রসিউটর কোডের ৫৪।
উল্লেখ্য, নিহত আনোয়ারা বেগমের পিতার বাড়ী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায়। সে ছিল শহিদুল খানের ২য় স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই রাজবাড়ী জুট মিলে কাজ করতো। তাদের ৮ ও ৪বছর বয়সী ২টি সন্তান রয়েছে।