শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে কোরবানীর পশু বোঝাই ট্রলার ডুবি॥মারা গেছে কমপক্ষে ৩০টি গরু-মহিষ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭

॥শিহাবুর রহমান/কাজী তানভীর মাহমুদ॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী এলাকায় পদ্মা নদীতে গতকাল ২৮শে আগস্ট দুপুর ২টার দিকে কোরবানীর পশু বোঝাই একটি ট্রলার ডুবে কমপক্ষে ৩০টি গরু ও মহিষ মারা গেছে।
কালুখালী উপজেলার রূপসা ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পশু বোঝাই ট্রলারটি চন্দনী ইউনিয়নের ধাওয়াপাড়া ফেরী ঘাটের চর এন্দলামপুর এলাকায় পৌঁছে ডুবে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবী, ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে ৬৪টির মত গরু ও মহিষ ছিল।
খবর পেয়ে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নুরমহল আশরাফী ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার মিয়া ধাওয়াপাড়া ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন।
কালুখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান বলেন, ট্রলারটিতে ২০/২৫জন ব্যবসায়ীর পৌনে ৮০টির মত গরু-মহিষ ছিলো। কালুখালীর রূপসা ঘাট থেকে গরু ও মহিষ বোঝাই করে আরিচার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ধাওয়াপাড়া ঘাট পৌঁছানোর পর ট্রলারটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে পানি ঢুকে ডুবে যায়। আমার ৯টি গরুর মধ্যে ৭টিই মারা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ট্রলারে আমার ১১টি গরু ছিলো। মাত্র ২টি জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি। আরেক ব্যবসায়ী চয়ন সেখ বলেন, আমার ৩টি গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলাম। ৩টি গরুই মারা গেছে।
চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম সিরাজুল আলম চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ট্রলারটিতে ১১টি মহিষ ও ৫৩টি গরু ছিলো। ১৪টির মত জীবিত উদ্ধার করা গেছে।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মাজহারুল ইসলাম বলেন, ট্রলার ডুবির সংবাদ পেয়ে ডুবুরী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হয়। ঘটনার পরপরই গরুগুলো ¯্রােতে ভেসে যাওয়ায় তারা উদ্ধার কাজে অংশ নিতে পারেননি।
রাজবাড়ী থানার এস.আই রঞ্জন বিশ^াস জানান, গরুর কোন চালান কপি পাওয়া যায়নি। সে কারণে সঠিকভাবে ওই ট্রলারে কতগুলো গরু ছিল এবং কতগুলো মারা গেছে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। একেক জন একেক রকম তথ্য দিচ্ছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আবুল বাশার মিয়া বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে পুলিশ কাজ করছে।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য খায়রুল ইসলাম খায়ের জানান, ঘটনার পর মৃত গরুগুলো নদীর ওই পারে রাখা হয়। তিনি নদীর ওই পাড়ে গিয়েছিলেন। ওই ট্রলারে ৫৪টি গরু ও ১২টি মহিষ ছিল। ৯টি গরু জীবিত পাওয়া গেছে। বাকী সবগুলো মারা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!