॥রঘুনন্দন সিকদার॥ আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অবৈধ পশুর হাট বসানোর চক্র। কোন রকম আইন না মেনে ইজারা ছাড়াই নিজেদের ক্ষমতার বলে তারা যেখানে-সেখানে অবৈধ পশুর হাট বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৈধ ইজারাদাররা। সেই সাথে সরকারও মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। অবৈধ এসব পশুর হাট অপসারণের জন্য বৈধ ইজারাদাররা বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এইচ.এম রকিব হায়দারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।
ইজারাদারদের অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, একটি প্রভাবশালী চক্র বালিয়াকান্দির রামদিয়া, আনন্দ বাজার, শালমারা এবং বেরুলী বাজারে অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বালিয়াকান্দি উপজেলাতে সরকারীভাবে দরপত্রের মাধ্যমে বাংলা ১৪২৪ সালের জন্য পশুর হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে বহরপুর, জামালপুর, তেতুঁলিয়া ও বালিয়াকান্দি হাটকে। এই ৪টি হাট থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ২শত টাকা। এর মধ্যে বহরপুর হাট ৫১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে, জামালপুর হাট ৩৩ লক্ষ টাকায় মোঃ মজিবর রহমান বিশ্বাসকে, তেঁতুলিয়ার হাট ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় মোঃ দলিল উদ্দিনকে এবং বালিয়াকান্দি হাট ২০ লক্ষ ৫৩ হাজার ২শত টাকার বিনিময়ে মোঃ সেলিমকে সরকারীভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
বালিয়াকান্দি পশু হাটের ইজারাদার মোঃ সেলিম ও বহরপুর পশু হাটের ইজারাদার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, অবৈধ পশুর হাট বসানোয় আমরা মারাত্মকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। প্রশাসন যদি দ্রুত এ সকল অবৈধ পশুর হাট বন্ধ না করে তাহলে আমরা আগামীতে কেউ এতো টাকা দিয়ে হাট কিনবো না।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এইচ.এম রকিব হায়দার জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। একটি প্রতিবেদন তৈরী করে পাঠিয়ে দিবো।