॥স্টাফ রিপোর্টার॥ গোয়ালন্দে জামাইয়ের ধারালো বটির এলোপাথারি কোপে শাশুড়ি মিনু বেগম(৪৮) খুন হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গত ১৯শে ডিসেম্বর নিহতের স্বামী গোয়ালন্দ পৌরসভার ইবাদ আলী মিস্ত্রী পাড়ার কামাল শেখ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
গোয়ালন্দ থানার মামলা নং-১১, ধারাঃ ১৮৬০ সালের ৩০২ পেনাল কোর্ড। মামলায় ঘাতক জামাই ওয়াদুদ বেপারী (৩৫)কে আসামী করা হয়েছে। সে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২নং বেপারী পাড়ার জব্বার বেপারীর ছেলে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২নং বেপারী পাড়ার জব্বার বেপারীর ছেলে ওয়াদুদের সাথে কামাল শেখের মেয়ে সাথীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওয়াদুদ কোন কাজ কাম করতো না। এমনকি সে বিভিন্ন ধরণের নেশা করতো। কাজের কথা বললে সে সাথীকে মারপিট করতো। বাধ্য হয়ে কামাল শেখ সাথীকে তার বাড়ীতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে ওয়াদুদও প্রায়ই শ্বশুর বাড়ীতে এসে থাকতো। ২মাস আগে সাথী স্থানীয় একটি বেসরকারী সংস্থায় মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ চাকুরী নেয়। এতে সে ক্ষিপ্ত ছিল। গত ১৯শে ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ওয়াদুদ শ্বশুর বাড়ীতে এসে শাশুড়ী মিনু বেগমের কাছে সাথীর কথা জিজ্ঞেস করে। এ সময় মিনু বেগম তাকে জানায় সাথী এনজিও অফিসে চাকুরী করতে গেছে। এ সময় সে কাকে যেন মোবাইল করে জানায় সাথী তোমার কথা শোনেনি, আমার কথাও শোনেনি। এরপর সে রান্না ঘরে থাকা বটি দিয়ে মিনু বেগমকে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। কামাল শেখের ধারণা তার স্ত্রীকে হত্যার পিছনে ওয়াদুদের পিতা জব্বার বেপারী প্ররোচনা রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘাতক জামাই ওয়াদুদ গ্রেফতার হয়নি।