শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

গোয়ালন্দের চারটি ইউনিয়নের ৮৮টি গ্রাম বন্যা কবলিত॥৬৪হাজার মানুষ পানিবন্দি

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিপদ সীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে গোয়ালন্দ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৮৮টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৬০টি, উজানচর ইউনিয়নের ১৫টি, দেবগ্রামের ৮টি ও ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ১৬হাজার ৯০০ পরিবারের ৬৩হাজার ৬০০ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন পার করছে। ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার প্রায় ৬৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে এসব ইউনিয়নের বন্যা কবলিত বাসিন্দাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৮.৮ মেট্রিক টন চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম মন্ডল জানান, ইউনিয়নের ৬৫টি গ্রামের মধ্যে ৬০ গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া পদ্মা নদীর তীরবর্তী বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়া, ছিদ্দিক কাজী পাড়া, বেপারী পাড়ার আংশিক ও আফছার শেখের পাড়ায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দুই দিন ধরে এসব এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মন্ডল জানান, জরুরীভাবে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ১৭০ মেট্রিক চাউল ও ১৬ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেটের চাহিদা চেয়ে গতকাল জরুরী বার্তা পাঠানো হয়েছে। তবে বন্যার্ত মানুষের জন্য জরুরী প্রয়োজনে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে নির্মিত ১১টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!