॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিপদ সীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে গোয়ালন্দ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৮৮টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৬০টি, উজানচর ইউনিয়নের ১৫টি, দেবগ্রামের ৮টি ও ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ১৬হাজার ৯০০ পরিবারের ৬৩হাজার ৬০০ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন পার করছে। ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার প্রায় ৬৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে এসব ইউনিয়নের বন্যা কবলিত বাসিন্দাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৮.৮ মেট্রিক টন চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম মন্ডল জানান, ইউনিয়নের ৬৫টি গ্রামের মধ্যে ৬০ গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া পদ্মা নদীর তীরবর্তী বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়া, ছিদ্দিক কাজী পাড়া, বেপারী পাড়ার আংশিক ও আফছার শেখের পাড়ায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দুই দিন ধরে এসব এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মন্ডল জানান, জরুরীভাবে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ১৭০ মেট্রিক চাউল ও ১৬ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেটের চাহিদা চেয়ে গতকাল জরুরী বার্তা পাঠানো হয়েছে। তবে বন্যার্ত মানুষের জন্য জরুরী প্রয়োজনে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে নির্মিত ১১টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।