॥দেবাশীষ বিশ্বাস/েেমাখলেছুর রহমান॥ রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমের পুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের মোটর সাইকেল বহরে হামলার চেষ্টাকারী জাহিদুল হাসান সবুজ এবং তার সহযোগী ট্যারা জিয়া ও ট্যারা এনায়েতসহ ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গতকাল ২রা আগস্ট সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২ঘন্টাব্যাপী কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মজনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সহসভাপতি আব্দুল খালেক মাস্টার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আব্দুল খালেক, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তনয় কুমার চক্রবর্তী, কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান নবাব, রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসিনা পারভীন নিলুফা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান আরাফাত হোসেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, রতনদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম শাহ্ আজিজ, কালুখালী উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম সুমন, যুগ্ম-আহবায়ক রিপন দেওয়ান ও সৌরভ প্রামানিক, সদস্য রায়হান কবির সাদ্দাম, যুবলীগ নেতা রিপন প্রামানিক, সেলিমুর রেজা, জেড.এ ডাবলু ও মাসুদ মোল্যা, রতনদিয়া বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সুজন, কালিকাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সফিক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজির হোসেন, মাঝবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন, মৃগী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, সাওরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও বোয়ালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণ ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তাগণ উল্লেখ করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তারুণ্যের প্রতীক আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট এবং তার কর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করতেই তার উপর পরিকল্পিতভাবে হামলার চেষ্টা করা হয়। বর্তমান সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেই এই চক্রান্ত করা হয়। তারা ককটেল বোমাসহ গ্রেফতারকৃত জাহিদুল হাসান সবুজ এবং তার সহযোগী ট্যারা জিয়া ও ট্যারা এনায়েতসহ সকল ষড়যন্ত্রকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব ষড়যন্ত্রকারীর ধুম্রজাল ছিন্ন করার জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানান।
জেলা পরিষদের সদস্য ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মজনু বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে এবং তার মনোবল ভাঙ্গার জন্য তার সন্তানের উপর এই আঘাতের চেষ্টা। এরই মধ্যে এর শিকড় চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একটি জাতীয় পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তদন্তে সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লে¬খ্য, গত ৩০শে জুলাই সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের মোটর সাইকেলের বহরে হামলার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাহিদুল ইসলাম সবুজ নামে এক যুবককে ককটেলসহ ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই সময় আরেক যুবক পালিয়ে যায়। ধৃত জাহিদুল ইসলাম সবুজ বর্তমানে রাজবাড়ী জেল হাজতে রয়েছে।