॥রঘুনন্দন সিকদার॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এইচ.এম রকিব হায়দার গতকাল ২৫শে জুলাই দুপুরে নারুয়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর পাড়ের মরাবিলা গ্রাম ও নারুয়া খেয়াঘাট এলাকার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা ও নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আঃ সালাম উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী তাদের নিকট সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এলাকাবাসী জানান, প্রত্যেক বছর গড়াই নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ঘর-বাড়ী, ফসলী জমি ও বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। মরাবিলা, জামসাপুর, কোনাগ্রাম, নারুয়া, সোনাকান্দর, বাকসাডাঙ্গী, হাবাসপুর, পুষআমলা, আখপোটরা, বাঙ্গরদাহ, তারালিয়া, সমাধিনগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ সালাম জানান, সম্প্রতি গড়াই নদীর খেয়াঘাট ও মরাবিলা এলাকায় নতুন করে বেরীবাঁধ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করা হয়। ভাঙ্গনের ভয়াবহতা রোধে আশু ব্যবস্থা না নিলে ফসলী জমি, ঘর-বাড়ী, রাস্তা-ঘাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এইচ.এম রকিব হায়দার জানান, নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষের জান-মালের ক্ষতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গড়াই নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।