॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে চেয়ারম্যান মীর্জা বদিউজ্জামান বাবু’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ১বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গত ২০শে জুলাই উদয়পুর দেলোয়ারা মর্জি কলেজের হল রুমে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী।
বসন্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা বদিউজ্জামান বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাঈদা খানম, বসন্তপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন সরদার, জালদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবুল হাসেম জিহাদ মিয়া, বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মীর্জা হাফিজ উদ্দিন ও রাজবাড়ী সদর থানার এস.আই এনছের আলী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন স্কুল শিক্ষক জালাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী বলেন, মানুষের মনের যে চাহিদা রয়েছে তা হলো বিনোদন। এই বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের মনকে সুস্থ্য রাখা যায়। আমাদের সোনামনিরা হচ্ছে আগামী দিনের ভবিষ্যত। এই সোনামনিদের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দিতে হবে। খেলাধুলার পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। আমরা খেলাধুলার সামগ্রী দেবো। কারণ খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে এখন বিশে^র সবাই চেনে। এটা সম্ভব হয়েছে জাতির জনকের সুযোগ্যে কন্যা শেখ হাসিনার জন্য।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সারা বাংলার মানুষের কথা ভাবেন। আর আমরা যদি যার যার এলাকার কথা ভাবি তাহলে আমার মনে হয় না আমাদের ছেলে মেয়েরা খারাপ পথে যাবে। আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলে তারা ভাল মানুষ হতে পারবে।
সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী আরো বলেন, ডিজিটাল কি তা আগে কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। এখন হচ্ছে সেই ডিজিটালের স্বর্ণ যুগ। স্বর্নের যুগে বাস করে এই সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। তাহলে আমরা জাতির জনকের সোনার বাংলা ও শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌছে যাবো।
তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ মুক্ত, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত দেশ গড়ার জন্য ঐক্যমত গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ বিশে^র বুকে এখন একটি রোল মডেল। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দরকার শেখ হাসিনার সরকার।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সরকার বছরের প্রথম দিনে প্রায় ৪০ লক্ষ ছেলে মেয়েদের বিনামূল্যে এক সাথে পাঠ্যবই দিচ্ছেন। এটা বিশে^র বুকে বিরল ঘটনা। এটাও সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তিনি মায়েদের জন্যও চিন্তা করেন। মায়েরা ভাল থাকলে সন্তান ভাল হবে। সেজন্য তিনি মায়েদেরকে মাতৃকালীন ভাতা দিচ্ছেন। চাকুরীজীবী মায়েদের জন্য ৬মাসের মাতৃকালীন ছুটির ব্যবস্থা করেছেন। তাই এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
পরে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় টেলিভিশনের পালাগান ও আদি লালন গীতির শিল্পী বাউল নিজাম উদ্দিন লালনী, মানবান আনোয়ার শাহ্সহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ বাউল গান পরিবেশন করেন।