॥স্টাফ রিপোর্টার॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই.বিগুনের আসন্ন সফরকালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত জনগণের প্রত্যাবাসন শুরু করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন চেয়ে ঢাকা রোহিঙ্গা ইস্যুটি উত্থাপন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন গতকাল ১২ই অক্টোবর তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি (রোহিঙ্গারা) কেবল আমাদের দায়িত্ব নয়, এটি একটি বৈশ্বিক দায়িত্ব। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাদের দেশে(মিয়ানমার) ফিরে যেতে হবে।’
এখানে মার্কিন দূতাবাস আগেই জানিয়েছে, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই. বিগুন ১৪-১৬ই অক্টোবর সফরকালে এখানে সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) আওতায় এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাবও দেবে।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের আইপিএস সম্পর্কে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে এটি (আইপিএস) কার্যকর করার জন্য এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাদের(ইউএসএ) অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।”
মোমেন বলেন, মার্কিন দূতাবাস কোভিড মহামারীজনিত কারণে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য নতুন শিক্ষার্থী ভিসা প্রদান এখনও শুরু করে নাই। তাই তিনি সম্ভাব্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা ইস্যুর বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও ঢাকা মহামারীর কারণে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে দেশের পোষাক খাতকে সহায়তা করার জন্য আগামী তিন বছরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশে তৈরী রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) পণ্যাদির শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চাইবে।
এখানে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার কর্মসূচিতে সকলের জন্য সমৃদ্ধির সাথে একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করবেন।
দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বিগুনের এ সফর কোভিড-১৯ মোকাবেলা ও পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতার ওপরও মনোনিবেশ করবে।
এখানে তার সফরের আগে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১২-১৪ই অক্টোবর ভারত সফর করবেন যেখানে তিনি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ফোরামে মূল বক্তৃতা প্রদান করবেন।
তিনি ভারতে তাঁর কর্মসূচিতে ‘যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ব্যাপকভিত্তিক বৈশি^ক স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’ এগিয়ে নেয়া এবং ওয়াশিংটন ডিসি ও নয়াদিল্লী কীভাবে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও বিশ্বজুড়ে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সুরক্ষাকে এগিয়ে নিতে একসাথে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্ব দিবেন।