॥স্টাফ রিপোর্টার॥ চলমান করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা ও করোনা পরবর্তী উন্নয়ন ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশকে সহায়তায় ১৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল ১৫ই জুন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, ‘আমি আজ অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে জোরদার করতে এবং চলমান কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুন করে ১৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার তার দূতাবাস থেকে এক যৌথ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ইউএসএইড ইতোমধ্যে যে ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে নতুন অর্থায়ন তার সাথে যুক্ত হবে। স্বাস্থ্য ও মানবিক সহায়তায় এই ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ দেয়া হচ্ছে।
কল্যাণপুর ও সাততলা বস্তির মতো নিম্ন আয়ের ১শ’ শহুরে মানুষের জন্য খাবারের পাশাপাশি বাজার ও কৃষকদের মাঝে পুনরায় বিপনন ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য এই অতিরিক্ত সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মিলার বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে খুশি যে আমাদের ইউএসএইড অর্থায়নটি ঢাকার সুবিধাবঞ্চিত হাজার হাজার মানুষের জীবনরক্ষাকারী খাদ্য সহায়তায় ব্যয় হবে। ’
মার্কিন সরকার শুধু ইউএসএইডের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে করোনা মোকাবেলায় প্রায় ৩৭ মিলিয়ান মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই মহামারী মোকাবেলায় ১২০টি দেশকে যে ১বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এটা তার অংশ।
ইউএসএইড- ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) প্রস্তাবিত কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ(আইপিসি) ও কেস ম্যানেজমেন্টের ওপর দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নতুন বাংলাদেশী চিকিৎসকদের সর্বশেষ ব্যাচের অংশ গ্রহণ উপলক্ষে আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চলতি সপ্তাহের কোর্সে দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নতুন ১হাজার চিকিৎসক অংশ নিচ্ছেন। বিনিময়ে, তারা বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালে ৩হাজার নতুন নিযুক্ত নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত বীর হচ্ছে এই মহামারী মোকাবেলায় সম্মুখ যোদ্ধা, বিশেষত স্বাস্থ্যকর্মীরা, যারা সরাসরি প্রাণঘাতী রোগটির সাথে লড়ে যাচ্ছেন। আমদের অবশ্যই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যতটা সম্ভব করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, মার্কিন সরকার এই সংকটময় মুহূর্তে কিভাবে বাংলাদেশী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি তার আরেকটি উদাহরণ।
রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইউএসএইড এবং ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সক্রিয়ভাবে দেশব্যাপী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সহায়তা করেছে।
১৯৭১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএইড-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে।