ছবিটি দেখে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত রোগীর জানাযা মনে হলেও আসলে কিন্তু তা নয়। গতকাল ২৭শে এপ্রিল বিকেলে রাজবাড়ী শহরের ড্রাইচ ফ্যাক্টারী এলাকায় লাশ কাটা ঘরে এভাবেই বেওয়ারিশ লাশের জানাযা করা হয়। জানাযাতে ইমামতি করেন আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য হাফেজ মোঃ শফিকুল ইসলাম। এতে রাজবাড়ী আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়াজিউল্লাহ মন্টুসহ ৫জন অংশ নেন। উল্লেখ্য, গত ২৬শে এপ্রিল দুপুরে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটের বাস টার্মিনালের যাত্রী ছাউনী থেকে অজ্ঞাত এই বৃদ্ধ(৫৫) লাশ উদ্ধার পুলিশ উদ্ধার করে। করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার পরিচয় পাওয়া না গেলে ময়না তদন্ত শেষে আঞ্জুমান-ই-মুফিদুল ইসলাম লাশ দাফন করে। এরআগে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল এলাকার বন্ধ থাকা দোকানের সামনে থেকে গত ১৮ই এপ্রিল সন্ধ্যায় পুলিশ ৪০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা আরেক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে গত ২০শে এপ্রিল ময়না তদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম একইভাবে লাশটি দাফন। শহরের ভবানীপুর কবরস্থানে লাশ ২টি দাফন করা হয়। জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লাশ দুটি দাফনে সহযোগিতা করেন। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়াজিউল্লাহ মন্টু ধারণা, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে খাবার হোটেল বন্ধ থাকায় এসব ভবঘুরে মানুষ খাবার অভাবে অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যু বরণ করতে পারে -মাতৃকণ্ঠ।