॥স্টাফ রিপোর্টার॥ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল ২৬শে মার্চ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেওয়ার ৪৯তম বার্ষিকীতে স্বাধীনতা দিবস ভিন্ন আঙ্গিকে পালনের কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারনে সকল কর্মসূচী বাতিল করা হয়। যদিও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষে এবার স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন আরো আড়ম্বরভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের পর দ্রুত পালটায় পরিস্থিতি, বদলাতে হয় পরিকল্পনা। উৎসব আয়োজনের পরিবর্তে শুরু হয় অন্যরকম যুদ্ধ প্রস্তুতি।
ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধি কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একে একে আসা নানা ঘোষণার মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আকার সীমিত করার ঘোষণাও আসে। এর আগে গত ১৭ই মার্চ মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও সীমিত আকারে পালন করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল ২৬শে মার্চ প্রত্যুষে রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, বেসরকারী, আধা-সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম। এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান,পিপিএম(বার) উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাদ জোহর সকল মসজিদে ও সুবিধামত সময়ে মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি-অগ্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও জেলা কারাগার, সরকারী শিশু পরিবার ও সরকারী হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার ও মিষ্টি পরিবেশন, সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারী ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে জেলা প্রশাসনের অন্যান্য সকল কর্মসূচী এবং রাজবাড়ী আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের সকল কর্মসূচী বাতিল করা হয়েছে।