॥দেবাশীষ বিশ্বাস/হেলাল মাহমুদ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রাজবাড়ী জেলায় বিদেশ ফেরত ৮০৫ জনের কোন হদিস নেই। এছাড়া ৯৮২ জন প্রবাসীর বাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২৯৪ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে এবং ১২ জনকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম-বার জানান, ইমিগ্রেশনের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে রাজবাড়ী জেলায় মোট ১ হাজার ৭৮৭জন প্রবাসী ফিরে এসেছে। গতকাল রবিবার (গতকাল ২২শে মার্চ) দুপুর পর্যন্ত তাদের ৯৮২ জনের তথ্য সংগ্রহপূর্বক বাড়ীতে বাড়ীতে স্টিকার লাগিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ৮০৫ জনের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থানা পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ ব্যাপারে মনিটরিং করছেন।
অপরদিকে সিভিল সার্জন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুুরুল ইসলাম জানান, গতকাল রবিবার পর্যন্ত জেলার ২৯৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া ১২জনকে রিলিজ (১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অবমুক্তি) দেয়া হয়েছে।
পুলিশের তথ্যের সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যের গড়মিলের ব্যাপারে তিনি বলেন, পুলিশ যা করছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু আমাদেরকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হয়, যে কারণে আমরা ৯৮২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন দেখাতে পারছি না। তবে পুলিশের সহায়তায় আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই হয়তো সেই সংখ্যাটা দেখাতে পারবো।
এদিকে করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯) প্রতিরোধে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গতকাল ২২শে মার্চ সকালে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের থাকা পৃথক একটি ভবনের(স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অফিসের) দোতলায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট ‘আইসোলেশন ইউনিট’ চালু করা হয়। এর আগে গত ৩০শে জানুয়ারী হাসপাতালে তৃতীয় তলায় আইসোলেশন কর্ণার চালু করা হলে অন্য রোগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। গত ১৯শে মার্চ জেলা প্রশাসক ওই আইসোলেশন ইউনিট পরিদর্শনকালে পৃথক ভবনে ‘আইসোলেশন ইউনিট’ চালুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। সে আলোকে গতকাল রবিবার পৃথক এ্যাম্বুলেন্সসহ আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে ।