গত ১২ই মার্চ ফরিদপুরের দৈনিক বাঙ্গালী সময় পত্রিকায় ‘খানখানাপুরের সেবা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ॥ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ’ শিরোনামে এবং বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজবাড়ী কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিঃ এর অন্যতম পরিচালক, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদের পরপর ৪ বার নির্বাচিত সদস্য নব কুমার দত্ত।
গতকাল ১৬ই মার্চ এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত জমিটি ক্রয় করার সময় আমি সমিতির(খানখানাপুর সেবা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ) সেক্রেটারী থাকলেও জমি বিক্রির সময় সেক্রেটারী ছিলেন মোঃ শাহজাহান কাজী। সমিতির নতুন ইটভাটা নির্মাণের জন্য টাকার প্রয়োজন হয়। সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সাড়ে ৮লক্ষ টাকায় জমিটি বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২৪/০৬/২০০৭ইং তারিখে সমিতির সাধারণ সভায় তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান কাজীকে জমি বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়। জমি বিক্রির উক্ত টাকা দিয়ে নতুন ইটভাটা নির্মাণ করা হয়। সাড়ে ৮ লক্ষ টাকায় জমি বিক্রি করে সেখান থেকে ৫০ লক্ষ আত্মসাৎ করার অভিযোগ হাস্যকর, অমূলক ও মিথ্যা। ২০০৭ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত সমিতির কোন সভায় এ ধরণের ঘটনা নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। সেবা বহুমুখী সমবায় সমিতি একটি নিবন্ধনকৃত প্রাথমিক সমবায় সমিতি। এর পরিচালনার জন্য একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি আছে। তারা নিয়মিত মিটিং করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। আর্থিক লেনদেনের জন্য জনতা ব্যাংকের খানখানাপুর শাখায় একটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। সমিতির সভাপতি, সেক্রেটারী ও ক্যাশিয়ারের যৌথ স্বাক্ষর দ্বারা ব্যাংক হিসাবটি পরিচালিত হয়। অতএব সেখান থেকে এককভাবে অর্থ আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। কাজেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সবৈব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যেহেতু সমিতির যেকোন বিষয়ে সভাপতি, সেক্রেটারী, ক্যাশিয়ার এবং সদস্যবৃন্দের যৌথ ভূমিকা থাকে সেহেতু হিসাব দেওয়ার ক্ষেত্রে এককভাবে ক্যাশিয়ারকে দায়ী করা অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রাজবাড়ী কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিঃ একটি কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি। আমি এর পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য। এই ব্যাংকটি চেয়ারম্যান, প্রিন্সিপাল অফিসার এবং সদস্যগণের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। চেয়ারম্যান এবং প্রিন্সিপাল অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়। অতএব ব্যক্তিগতভাবে এখান থেকে কোন অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নেয়ার সুযোগ নাই। সেখানে কোন সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয় না। সে কারণে সেখান থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সমবায় মার্কেটে আমার নিজ নামে কোন দোকান বরাদ্দ নেই। কাজেই দোকান বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগও অসত্য।
উল্লেখ্য, সংবাদগুলো পরিবেশনের পূর্বে আমার সাথে যোগাযোগ করে আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়ে একপেশেভাবে অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদগুলো পরিবেশন করা হয়েছে।
দৈনিক বাঙ্গালী সময় পত্রিকার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি রেজাউল করিম রেজু বিগত ইউপি নির্বাচনে আমার সাথে একই ওয়ার্ডের(১ নং ওয়ার্ড, খানখানাপুর ইউপি) সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ওই নির্বাচনে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তারপর থেকেই উক্ত রেজাউল করিম রেজু আমার বিরুদ্ধে লাগাতার নেতিবাচক প্রচারণা ও বিষোদগার করে আসছে। আগামী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সে আরও বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মানহানীকর অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যা ব্যক্তিগত শত্রুতার পর্যায়ে পড়ে। এ বিষয়ে আমি অচিরেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমি পর পর ৪বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিগত ২৪বছর ধরে একনাগারে জনগণের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে তাদের সেবা করে আসছি। আমি আমার জনপ্রতিনিধিত্ব জীবনের উপর অবিচল আস্থা রেখে কর্মময় সময় পার করছি। ঘুষ আর দুর্নীতিকে আজীবন ঘৃণার চোখে দেখে আসছি। আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ আমার প্রতি সন্তুষ্ট ও আস্থাভাজন। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে ডাহা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিকর, মানহানীমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হলে আমি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রতিবাদকারী ঃ নব কুমার দত্ত, পরিচালক, রাজবাড়ী কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিঃ, সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, রাজবাড়ী জেলা শাখা এবং নির্বাচিত সদস্য, খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, রাজবাড়ী। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।