॥স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীদের প্যানেল গঠন করে নিয়োগের দাবীতে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
গতকাল ২৪শে ফেব্রুয়ারী সকালে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে জেলা প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
এতে রাজবাড়ী প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার ও সাধারণ সম্পাদক সম্রাট প্রামানিকসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বক্তারা বলেন, আমাদের লেখাপড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চরম সেশনজট বিদ্যমান ছিল। অন্যদিকে সার্টিফিকেট পাওয়ার পর হাইকোর্ট হতে রীট জটিলতার কারণে ২০১৪-১৮ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কোন বিজ্ঞপ্তি হয়নি। এমনকি ২০১০-২০ সাল পর্যন্ত কোন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও হয়নি। অথচ আগে ৬মাস পর পর সহকারী শিক্ষক ও ২বছর পর পর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হতো। তাই আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
তারা আরো বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের অনেকের সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হওয়ার এটাই ছিল সর্বশেষ সুযোগ। এমনকি মেয়েদের জন্য এইচএসসি পাশে এটাই হলো সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি। এরপর থেকে মেয়েরা স্নাতক পাস ছাড়া আবেদন করতে পারবেন না। বিদ্যালয়গুলোতে যথেষ্ট শূন্য পদের সংখ্যাও বিদ্যমান আছে। জাতীয় সংসদ হতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর তথ্য মতে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য পদ রয়েছে প্রায় ২৯ হাজার। সম্প্রতি রিজার্ভ শিক্ষকের পদ সৃষ্টি প্রক্রিয়াধীন আছে প্রায় ৬৮ হাজার এবং প্রায় ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়াও ৬৫ হাজার হিসাব রক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা এসব পদের সুবিধা বঞ্চিত।
বক্তারা বলেন, প্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হলে নিয়োগ বাণিজ্য ও কালক্ষেপন বন্ধ হবে। শূণ্যপদের ভিত্তিতে যথা সময়ের উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সহজ হবে। শিক্ষিত বেকাররা অতিদ্রুত বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে এবং উচ্চ আদালত হতে রীট জটিলতা থাকবে না।