॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউপির তামলী দুর্গাপুর গ্রামের অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তান বিশ্বজিৎ দাসের(৩০) দুইটি কিডনীই নষ্ট হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কিডনী প্রতিস্থাপনে আর্থিক সহায়তা চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সমাজে আলো ছড়ানোর কারিগর বিশ্বজিৎ দাস।
জানা যায়, বিশ্বজিৎ দাস পাংশার ঐতিহ্যবাহী এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠের সহকারী শিক্ষক। ৪বছর আগে তার কিডনী রোগ ধরা পড়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-ছাত্রী ও শুভাকাঙ্খীদের সহায়তায় দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিলেও তিনি সুস্থ্যতা লাভ করেন নি। সর্বশেষ ভারতের কলকাতা মুকুন্দপুর আরএন টেগোর হাসপাতালের কিডনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রতীক দাস কিডনী রোগী বিশ্বজিৎ দাসের দুটি কিডনীই প্রতিস্থাপানের পরামর্শ দিয়েছেন। তার অধীনেই চলছে চিকিৎসা। সে অনুযায়ী কিডনী প্রতিস্থাপনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সেখানে তার কিডনী প্রতিস্থাপনে ১৫ লক্ষাধিক টাকা লাগবে। ঢাকাস্থ গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারে সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস নেওয়া অসুস্থ্য বিশ্বজিতের পক্ষে ১৫ লক্ষ টাকা জোগার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ দীর্ঘদিন কিডনীর চিকিৎসা নিতে তার পৈত্রিক জায়গাটুকু বিক্রি করতে হয়েছে। গত বছরে তার পিতা মারা গেছেন। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়। সংসারে আয় রোজগারের অন্য কেউ নেই। অথচ সহসা কিডনী প্রতিস্থাপন করা না হলে হয়তো তার জীবন প্রদ্বীপ নিভে যাবে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা শিক্ষার আলো ছড়ানোর কারিগর অসহায় বিশ্বজিৎ দাস জীবন বাঁচানে সমাজের দানশীল বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আর্থিক সহযোগিতার জন্য সরাসরি যোগাযোগ করতে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, পাংশা শাখা সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০০৩৫৮৮৯৮১, মোবাইল নম্বর ০১৭১৫২৯০৮৫২ এবং ০১৭১৪৩২২৭১৭-তে অনুরোধ জানানো হয়েছে।