॥স্টাফ রিপোর্টার॥ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি বলেছেন, ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে প্রতিটি রুটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। গণপরিবহনে এসব ভ্রাম্যমান আদালতের ফোন নম্বর ও যোগাযোগের ঠিকানা থাকবে। পর্যায়ক্রমে সকল গণপরিবহনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।’
গত ৯ই জানুয়ারী রাজধানী ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, সরকার নারীর ক্ষমতায়ন উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নারীর ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এবং তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। এটা এখনই বন্ধ করতে হবে। নারী নির্যাতন বিষয়ে আমাদের কোন গবেষণা বা জরীপ নেই, তবে বর্তমানে গণমাধ্যম নারী নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত, বিকৃত মস্তিষ্ক ও মানসিকতার অধিকারীরাই নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষণকারী। তাদের বিরুদ্ধে নারী সমাজকে প্রতিবাদী হতে হবে। নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে দেশে আইন রয়েছে। আইনের কার্যকর প্রয়োগের পাশাপাশি সন্তানদের পরিবার থেকে নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দীপ্ত ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ মহসিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্মসূচী পরিচালক মোঃ ইয়ামিন খান।
সরকারের অর্থায়নে কর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করবে বেসরকারী সংস্থা দীপ্ত ফাউন্ডেশন। দীপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া হাসান তার উপস্থাপনায় বলেন, এ বছর ৫০টি এবং পরবর্তীতে ১৫০টি গণপরিবহনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা কেন্দ্রীয়ভাবে সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকবে এবং একই সাথে আ্যপসের সাথেও যুক্ত থাকবে। কর্মসূচীটি ৪টি এলাকায় বাস্তবায়িত হবে।