॥মাহবুব হোসেন পিয়াল॥ মাদক মামলার সাক্ষী হওয়ায় ৩বছরের একটি শিশুসহ একই পরিবারের ৪জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতদের একজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ২রা ডিসেম্বর রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের ভাজনডাঙ্গা আদর্শ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতরা হলো ঃ ভাজনডাঙ্গা আদর্শ গ্রামের দিন মজুর তারা ফকিরের স্ত্রী রহিমা বেগম(৬০), ছেলে মহসিন ফকির(৩৫), নাতি শিপন ফকির(৩) ও চায়ের দোকানী লাবলু চৌধুরী(৫০)। ঘটনার পর তাদেরকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথা ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হওয়া মহসিন ফকিরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মহসিন ফকিরের ভাই মতি ফকির জানান, তাদের এলাকার ইসমাইল মল্লিকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম(৫০) দেড় মাস আগে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে গত ১লা ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পায়। এর আগেও সে এক কেজি গাঁজাসহ র্যাবের হাতে আটক হয়েছিল। এসব ঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় দায়েরকৃত মাদক মামলায় সাক্ষী হওয়ায় তারা আমাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এস.আই শামীম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি জানান, মাদক মামলার আসামী মর্জিনা ও হামলায় আহত রহিমা আপন দুই বোন। মর্জিনার মাদক মামলায় সাক্ষী হওয়া হামলার একটি কারণ হলেও তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধও রয়েছে।