॥দেবাশীষ বিশ্বাস/চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের মাসিক সভা গতকাল ৩০শে নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর সঞ্চালনায় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ্ব আকবর আলী মর্জি, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, সহ-সভাপতি ডাঃ শেখ আব্দুস সোবহান, সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ হেদায়েত আলী সোহরাব, সহ-সভাপতি প্রফেসর ফকরুজ্জামান মকুট, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডঃ মোঃ শফিকুল আজম মামুন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস.এম নওয়াব আলী, উপ-দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিঃ মোঃ আমজাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ রমজান আলী খান, এডঃ মোঃ উজির আলী শেখ, শেখ ওহিদুজ্জামান ও মোঃ সফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভা শুরুর পূর্বে বেলা ১১টার কিছুক্ষণ পর রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর গাড়ীতে করে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই নেতা কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম এবং গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মন্ডল ওরফে নূরু মন্ডল এসে সভায় অংশগ্রহণ করতে গেলে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী তাদেরকে বাঁধা দেন।
এ সময় তারা(কাজী সাইফুল ইসলাম ও নূরু মন্ডল) বলেন, তাদেরকে সভায় অংশগ্রহণের চিঠি দেয়া হয়েছে বলেই তারা এসেছেন। তখন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ গোলাম মোস্তফা বাচ্চু ভুলবশতঃ চিঠি প্রদান করেছিলেন, যা আপনাদেরকে মোবাইল ফোনে অবগত করা হয়েছে। পরে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এই দুই নেতাকে বাদ রেখেই জেলা আওয়ামী লীগের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাংবাদিকদের শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য ঢোকার সুযোগ দেওয়া হয়।
সভায় আগামী ৩রা ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সিদ্ধান্তসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের অব্যাহতির বিষয়টি বহাল রাখা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের মিটিং উপলক্ষে রাজবাড়ী থানা ও বিশেষ শাখার অন্তত ৩০ জন পুলিশ সদস্য মিটিং চলাকালে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি রাজবাড়ী জেলা, সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা এবং গোয়ালন্দ পৌর সম্মেলনকে ঘিরে দলের অভ্যন্তরে দুই পক্ষের মধ্যে কোন্দল বিরাজ করায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাদেরকে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে।