॥স্টাফ রিপোর্টার॥ নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবীতে দেশের বিভিন্ন স্থানের পরিবহন শ্রমিকদের ন্যায় রাজবাড়ী জেলা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চালকরা গতকাল ২০শে নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে।
এর ফলে রাজবাড়ীর শহরের মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার স্ট্যান্ডে সকাল থেকে কোন মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কার দেখা যায়নি। এসব গাড়ী ভাড়া করে যেসব যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল তারাও যেতে পারেনি।
এই ধর্মঘটের অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার মালিক সমিতির মালিক-চালক ও সহকারীরা পৌর ইউ মার্কেটের সামনে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। সভায় মালিকদের মধ্যে মোঃ হায়দার আলী, মোঃ জাহিদ মোল্লা, মাছুম মিয়া, ছবেদ আলী, মোঃ শাহীন, চালকদের মধ্যে ফরিদ শেখ ও মোঃ আফাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, আজকে আমরা সকল পরিবহন শ্রমিকদের সাথে সহমত পোষণ করে নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি। সরকারের উচিত সার্বিক দিক বিবেচনা করে নতুন সড়ক পরিবহন আইনটি সংস্কার করা। কারণ এই আইনে একজন চালকের যে পরিমাণ জরিমানার কথা বলা হয়েছে সেটা একজন চালকের পক্ষে কখনোই দেয়া সম্ভব না। আর জরিমানা দিতে না পেরে জেলে গেলে তাদের পরিবার অসহায় হয়ে পড়বে। একজন চালক দিনরাত পরিশ্রম করে যে টাকা বেতন পায় তা একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। সরকার এই পরিবহন আইন সংস্কার না করলে পরিবহন শ্রমিকরা জেলে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে আর গাড়ী চালাবে না। আমাদের মতো জনবহুল দেশে গাড়ী চালাতে গেলে ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এসব দুর্ঘটনার অধিকাংশই চালকদের কারণে ঘটে না। তা সত্ত্বেও তাদের উপরই দায় চাপানো হয়।
এছাড়াও বক্তাগণ নতুন আইনে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারকে ভাড়ায় চালিত(রেন্ট-এ কারে) গাড়ীতে রূপান্তরের জন্য সহনীয় মাত্রায় সরকারী রেজিস্ট্রেশন ফি ধার্য্য করার দাবী জানান।
এ ছাড়াও বক্তাগণ সড়ক সংস্কার, রাস্তার পাশের হাট-বাজার অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয় এবং নতুন সড়ক পরিবহন আইনের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।