॥রফিকুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী ইরাদত আলী বলেছেন, ‘বিএনপি-জামাত ও পাকিস্তানের দোসররা ক্ষমতায় এলে দেশের অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। জঙ্গী-মৌলবাদের সৃষ্টি হয়। তাই বিএনপি-জামাতের নীলনকশা বাস্তবায়নে যারা কাজ করছে তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
গতকাল ২৭শে সেপ্টেম্বর বিকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের রাজিয়া বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী ইরাদত আলী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুৃ ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর চেতনা হারিয়ে যাবে। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তারা বেঁচে যান। আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকে। একমাত্র শেখ হাসিনাই পারেন দেশের উন্নয়ন করতে। তিনি স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আর কাউকে না খেয়ে মরতে হয়ে না। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতীক। সেই নৌকাকে হারিয়ে যারা রাজনীতি করতে চায় তাদের আওয়ামী লীগ করার দরকার নাই। নৌকাকে হারিয়ে কেউ ভালো থাকতে পারবেন না। কোন দুর্নীতিবাজকে দলে ঠাঁই দেয়া যাবে না। যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে তাদের দলে থাকার দরকার নাই। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে বোঝাতে হবে আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন। এই সংগঠনের শিকড় অনেক গভীরে বিস্তৃত। চন্দনী ইউনিয়নের কেউ বিনা চিকিৎসা মারা যাবে না। এই ইউনিয়নের কেউ কঠিন কোন রোগে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমি করবো। যে কোন বিপদে-আপদে আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি, পাশে থাকবো।’ এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে চন্দনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করাসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন এবং ইউনিয়ন কমিটিকে ওয়ার্ড কমিটিগুলোর সাথে সমন্বয় করে চলার আহ্বান জানান।
চন্দনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রবের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডঃ সফিকুল আজম মামুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডঃ সফিকুল হোসেন সফিক, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অরূপ দত্ত হলি, উপ-দপ্তর সম্পাদক নূর মোহাম্মদ ভুঁইয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ওহিদ, দপ্তর সম্পাদক কাওছারুল ফেরদৌস, অন্যান্যের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, চন্দনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সভাপতি পদে ৬ জন (বিদায়ী কমিটির সভাপতি আকরাম হোসেন, মিজানুর রহমান শাহীনূর, জেলা পরিষদের সদস্য আলাউদ্দিন শেখ, সোলায়মান জিয়া, হাবিবুর রহমান হবি, আব্দুস সালাম শেখ) ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন (বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, হাসান খান, সেলিম রেজা, কামরুল ইসলাম) প্রার্থী থাকায় এবং কোন সমঝোতা না হওয়ায় পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের দেয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করাসহ চন্দনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।