॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নে পাটকাঠি থেকে বিষাক্ত কার্বন উৎপাদনের কারখানা বন্ধের দাবীতে গতকাল ২রা সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর গণপিটিশন দাখিল করেছে এলাকাবাসী।
মাঝবাড়ী, কোমরপুর, দয়ারামপুর ও পূর্ব ফুলকাউন্নাইর গ্রামের ১৭৫ জনের স্বাক্ষরিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই এলাকাটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা। গত বছর কোমরপুর মৌজার শমসের মার্কেট সংলগ্ন মাঝবাড়ী গ্রামের খন্দকার জোবায়েদ হোসেন বিদ্যুতের জায়গার উপর একটি পাটকাঠি থেকে কার্বন উৎপাদনের কারখানা স্থাপিত হয়েছে। গত বছর কারখানাটি চালু করায় বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হলে এলাকাটি একটি ধোঁয়ার কুন্ডলীতে পরিণত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ কারখানাটি বন্ধ করে দেয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেখতে চায়। তারা তখন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। পুনরায় এ বছর কারখানাটি আবার চালু করার জন্য ইতিমধ্যে পাটকাঠি সংগ্রহ করাসহ নানারকম পাঁয়তারা শুরু করেছে। উক্ত কারখানার ৩ থেকে ০/৫০০ গজের মধ্যে ২টি মসজিদ, মাঝবাড়ী আলিম মাদরাসা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ডাকঘর, পাট ক্রয় কেন্দ্র ও একটি বাজার অবস্থিত এবং কারখানার ১০০ গজের মধ্যে একাধিক বসতবাড়ী রয়েছে। কারখানাটি পুনরায় চালু করা হলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে। কারখানার ধোঁয়া ও ছাই হতে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড মানুষের ফুসফুসের রোগসহ বিভিন্ন রোগ-ব্যধি হবে। যার কারণে সেখানে বসবাসরত শিশু ও বয়ষ্ক লোক মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।
এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে কারখানাটি যাতে পুনরায় চালু করতে না পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।
মাঝবাড়ীর মোঃ কোবায়দুর, হাফিজ আলমগীর, কাজী লিয়াকত হোসেন, সৈয়দ ওমর ফারুক, খোন্দকার আশরাফুল আজম, খোন্দকার মিজানুর রহমান, কাজী আবু আবিদ, জয়নাল আবেদীনসহ মোট ১৭৫ জন এই গণআবেদনের স্বাক্ষর করেছেন।
গণপিটিশনের কপি পুলিশ সুপার, ফরিদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।