॥শিহাবুর রহমান॥ কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের কয়ারদী গ্রামে এক বিধবাকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে যৌন নিপীড়ন এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তিন লম্পটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গতকাল ২রা সেপ্টেম্বর ওই বিধবা বাদী হয়ে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলো ঃ মাঝবাড়ী ইউনিয়নের কয়ারদী গ্রামের মৃত আঃ রহমানের ছেলে সামছুল আলম(৪০), একই গ্রামের মৃত আনোয়ার মন্ডলের ছেলে ছালাম মন্ডল(৪১) ও আঃ লতিফ আলীর ছেলে হাসান আলী(৪২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিতরা পরস্পর বন্ধু। একই গ্রামে বাড়ী হওয়ায় তারা মাঝে মধ্যেই ওই বিধবাকে কু-প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি সে এলাকার গর্ণমান্য ব্যক্তিদের জানালো তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ২১শে আগস্ট রাতে খাওয়া দাওয়া করে টিনের ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে। এর আগে কোন এক সময় উল্লেখিতরা কৌশলে ওই ঘরের মধ্যে খাটের নিচে লুকিয়ে ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা খাটের নিচ থেকে বের হয়ে এসে তার মুখ ও হাত-পা চেপে ধরে বেঁধে ফেলে। এরপর তারা তার শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করাসহ ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে তার মুখের বাধন খুলে গেলে সে চিৎকার করে। এ সময় তার ছেলে এগিয়ে এলে তারা তাকে এলোপাতারীভাবে কিলঘুষি মেরে আহত করে।
এ ঘটনায় ওই বিধবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য কালুখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।