॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার সরিষা ইউপির বহলাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামে গত ২৯শে মার্চ রাতে বাড়িতে ঢুকে মনিরুল ইসলাম(২৫) নামের যুবককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাযায়, গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ১০/১২ জনের মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসী দল বহলাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক পরিবারের মুন্নাফ মল্লিকের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে মনিরুল ইসলামকে কথা আছে বলে ঘর থেকে বের হতে বলে। এক পর্যায়ে মনিরুল ইসলামের স্ত্রী ঘরের দরজা খুলে দিলে সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে মনিরুল ইসলামকে রড ও অন্যান্য লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন শোর-চিৎকার শুরু করলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মনিরুল ইসলামের পিতা মুন্নাফ মল্লিক জানান, রাতে পেঁয়াজ কেটে মনিরুল ইসলাম তার ঘরে ঘুমাতে যায়। রাত ১১টার দিকে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা কথা আছে বলে মনিরুলের নাম ধরে ডাকতে থাকে এবং ঘরের দরজা খুলতে বলে। মনিরুলের স্ত্রী ঘরের দরজা খুলে দিলে সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে তাকে বেধরক মারধর করে দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেয়। তার ঘার, হাত, পা, আঙ্গুল, হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙা, কাটা-ফাটা ও ফুলা জখম হয়েছে। পঙ্গু হয়ে পড়েছে সে। ঘটনার পর থেকে মনিরুল ইসলামের পরিবারের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে হামলাকারীদের বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না তারা।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে ইউপি নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সরিষা ইউপির বহলাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে রাতের বেলায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। দক্ষিণাঞ্চলের কসবামাজাইলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র রয়েছে। পুলিশি তৎপরতার মুখেও সরিষা ইউপিতে থেমে নেই রাতে বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে রাতে বাহিনীর নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে তারা কারা?
প্রসঙ্গতঃ এর আগে দক্ষিণাঞ্চলের সরিষা ইউপির নাওরা-বনগ্রাম এলাকার তিনরাস্তা মোড় বটতলা নামক স্থানে গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে চরমপন্থী বিপুল বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড চরমপন্থী সন্ত্রাসী মোয়াজ্জেম ফকির নিহত হয়। সে উপজেলার পাট্টা ইউপির মধ্যপাট্টা গ্রামের আব্দুল মজিদ ফকির ওরফে মজিদ বাউলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে পাংশা ও কালুখালী থানায় হত্যা মামলাসহ মেটি ৮টি মামলা রয়েছে। সরিষা ইউপিতে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করা হলে অপরাধ প্রবণতা কমতে পারে বলে সচেতন মহলের ধারণা।