॥চঞ্চল সরদার॥ ঈদুল আযহার আর মাত্র ৩দিন বাকী। শুরু হয়েছে শেষ মুহূর্তের কোরবানীর পশু বেচাকেনা। এ অবস্থায় গত ৮ই আগস্ট ও গত ৯ই আগস্ট সাপ্তাহিক হাটের দিন বৃষ্টির কারণে রাজবাড়ীর পশু হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
গত ৮ই আগস্ট প্রায় সারা দিনই বৃষ্টি হওয়ার কারণে খামারী ও কৃষকরা বৃষ্টিতে ভিজেই গাড়ীতে বা পায়ে হেঁটে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ হাটে নিয়ে আসে। বেলা ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত যখন বৃষ্টি একটু কম ছিল তখন হাটে ভালোই লোক-সমাগম হয়। কিন্তু বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আবার বেশী পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকেই হাট থেকে চলে যেতে থাকেন। এ জন্য হাটের বেচাকেনাও ছিল একেবারেই কম।
আনিছুর রহমান নামের একজন গরুর বেপারী বলেন, আমি পাংশা থেকে এই হাটে ১৪টা গরু নিয়ে এসেছি। এ পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারি নাই। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে ক্রেতারা আসতো, গরুগুলো বিক্রি হতো।
তিনি আরও বলেন, এই হাটে ৭০/৮০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশী, বড় গরুর চাহিদা কম।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুঞ্চি এলাকার কোরবান শেখ বলেন, আমি একটি গরু নিয়ে এসেছিলাম। গরুটির প্রায় ৩ মণ মাংস হবে। সেটা ৬২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি। বাজারে মোটামুটি গরুর দাম ভালোই আছে বলে তিনি জানান।
হাটে গরু কিনতে আসা জলিল মন্ডল বলেন, বৃষ্টির কারণে হাটে সেইভাবে গরু দেখতে পারছি না। গরু রাখার জায়গা দিয়ে কাদা হয়ে আছে। বেপারীরা গরুর দাম একটু বেশীই চাচ্ছে। যদি আজ আশানুরূপ দামে পাই তাহলে গরু কিনবো, না হলে পরে কিনবো। এখনো তো কয়েকদিন বাকী আছে।
রাজবাড়ী পশু হাটের ইজারাদার আব্দুল ওহাব শেখ বলেন, আবহাওয়া খারাপের কারণে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা কম আসছে। বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত হাটে মোট গরু বিক্রি হয়েছে ২৮টি। যদি বৃষ্টি না হতো তাহলে হাটে আরো মানুষের সমাগম হতো। বেচাকেনাও ভালো হতো। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেটা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে এবার জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ২৯টি কোরবানী পশুর হাট বসেছে। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৭টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ২টি, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১০টি, পাংশা উপজেলা ৭টি ও কালুখালী উপজেলায় ৩টি হাট রয়েছে।