॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে ‘শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে মাতা-পিতাকে উৎসাহিত করুন’-শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে গতকাল ১লা আগস্ট সকালে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে র্যালীটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দীপক কুমার বিশ্বাস, রাজবাড়ী পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, অন্যান্যের মধ্যে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবায়েত মোঃ ফেরদৌস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল হান্নান এবং মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজী শফিউল আজম শুভ। এছাড়া মাতৃদুগ্ধের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোচনা করেন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহনিমা নার্গিস। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, সভাপতি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান সরকারসহ অন্যান্য বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, মাতৃদুদ্ধের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা শুরু হয়। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য ২০১০ সালে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরপর থেকে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার ছিল ৬৫%। বর্তমানে সেটির আরো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখার জন্য দেশের তৃণমূল পর্যায়ের ব্যাপক প্রচারণাসহ প্রতিটি সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ বান্ধব ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার স্থাপন করতে হবে। তবেই দেশের শতভাগ মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার অর্জনের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাসম্পন্ন করে গড়ে তুলে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করা সম্ভব হবে।