॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেছেন, ‘ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতা সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর যে অবস্থা বিরাজ করছে সেই তুলনায় রাজবাড়ীর অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে। অনেক জায়গায় ডেঙ্গু তো মহামারীর আকার ধারণ করেছে। তাই এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে।’
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২৬শে জুলাই বিকালে রাজবাড়ী শহরের ১নং রেলগেট এলাকায় ২৫-৩১শে জুলাই ‘মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা’ সপ্তাহ উপলক্ষে ‘মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন অভিযান’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমরা এখন থেকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চাই। সে জন্য আজ এখান থেকে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করছি। এ বছরের শ্লোগান হচ্ছে ‘পরিবেশ পরিষ্কার রাখি, বন্ধ করি মশার বিস্তার’ এবং ডেঙ্গু মুক্ত দেশ চাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নাই।’ পৌর মেয়র আমাকে জানিয়েছেন, তাদের কাছে ফগার মেশিন আছে। সেই মেশিন দিয়ে মশার উৎপত্তিস্থলগুলোতে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো যাবে। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতন করা হবে। ডেঙ্গু মশা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়, দিনের বেলা কামড়ায়। ডেঙ্গু মুক্ত থাকতে হলে সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। এই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করতে সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে সবসময় শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সকাল-বিকাল ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে। সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয়েছে, দু’একটি করে জীবনহানীও ঘটছে। হবিগঞ্জের সিভিল সার্জনও ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছেন। এ শহরের মানুষকে আমরা ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে চাই। এ জন্য প্রতিরোধমূলক কাজের অংশ হিসেবে আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হচ্ছে। আমাদের নিজেদের এই শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সকলের। সচেতন হলে অবশ্যই আমরা ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করতে পারবো।
এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মোঃ বাকাহীদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান এবং এনডিসি মোঃ রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তর ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যের শেষে জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ নিজ হাতে ঝাড়– ও বেলচা নিয়ে রেলগেটের হোসেন মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনের রাস্তা প্রতীকী ঝাড়– দেন।
আলোচনা পর্বের শেষে জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রসহ অন্যান্যরা পার্শ্ববর্তী আজাদী ময়দানে গিয়ে রেলওয়ে ক্লাব ও হলের আশেপাশের এলাকাজুড়ে পৌরসভার ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।