॥এম.এইচ আক্কাছ॥ ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে দৌলতদিয়া-কাজিরহাট নৌরুটে স্পীডবোট সার্ভিস চালু করা হয়েছে। শুরুতে জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হলেও এখন ৩০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরীর চেয়ে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ বেশী পড়েছে। কর্তৃপক্ষ লঞ্চ ঘাটে মাথায় বাঁশ বেধে আটকে দিয়ে যাত্রীদের ফেরীতে পারাপার হতে বাধ্য করছে।
কয়েকজন যাত্রী বললেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে তারা দ্রুত নদী পার হওয়ার জন্য লঞ্চেই স্বাচ্ছন্ন বোধ করেন। কিন্তু লঞ্চে উঠতে বাধা দেয়ায় ফেরীতেই পার হচ্ছেন।
দৌলতদিয়া-কাজিরহাট রুটে কিছু লঞ্চ চলাচল করলেও স্পীডবোট সার্ভিস চালু হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে গেছে। এ সুযোগে স্পীডবোট মালিকরা ইচ্ছামতো মূল্যের টিকেট ছাপিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এ নিয়ে প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা স্পীডবোট চালকরা যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহারও করছে।
তবে স্পীডবোট মালিকরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে তারা ২৫০ টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করেছেন। ঈদ উপলক্ষে নতুন টিকেট ছাপিয়ে ৩০০ টাকা করে নিচ্ছেন। তবে সবার কাছ থেকে তা নেয়া হচ্ছে না। গরীব মানুষকে ছাড় দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে.বি.এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, লঞ্চ-ট্রলার ও স্পীডবোট চলে ব্যক্তি মালিকানায়। যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
অন্য দিকে, ঈদ পরবর্তী যানবাহনের চাপ থাকলেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী ফেরীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল ১১ই জুন বিকাল পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে কয়েকশত বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় হাইওয়ে পুলিশও বেশ কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রেখেছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ছোট-বড় ১৬টি ফেরী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদ পরবর্তী যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা যানজট হচ্ছে।