॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ‘টেলিযোগাযোগে প্রমিতকরণের ক্ষেত্রে বৈষম্য হ্রাস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও বিটিসিএলের আয়োজনে গতকাল ১৮ই মে সকালে র্যালী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আম্রকানন চত্বর থেকে র্যালীটি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুছাইন বক্তব্য রাখেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী বিটিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহাদী হাসান, শিক্ষার্থী কুইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এনডিসি রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, বিটিসিএল ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণসহ শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। আর সেই কারণেই টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যের আদান-প্রদান বর্তমান সময়ে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত দেশের সবকিছুই এখন ডিজিটাল নির্ভর। সেই কারণেই ভবিষ্যতে আমাদের দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে সামিল করার ক্ষেত্রে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির খুবই প্রয়োজন ছিল। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে আজ থেকে এক বছর আগে ২০১৮ সালের ১৮ই মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তার মাধ্যমেই দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবাকে আরও দ্রুত গতি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিটিসিএল দেশের সর্বত্র অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিটিসিএল এতকিছু করার পরও ভৌতিক কারণে বিভিন্ন বেসরকারী ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রভাবে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রম দিন দিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। বাস্তবে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সেবা-ই সবচেয়ে ভালো হওয়ার কথা ছিল।
বক্তাগণ ভবিষ্যতে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সেবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনার শেষে দিবসটি উপলক্ষে প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর ই-মেইলে জমা দেয়া রচনার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।