বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন লাল ভবনটি ভেঙ্গে সিদ্ধান্ত॥সংরক্ষণের দাবী পুরাকীর্তি হিসেবে প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ভবনটি অবশেষে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।
ইতিপূর্বে ভবনটি সংরক্ষণের জন্য বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ জেলার সচেতন মহলের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে মতামত দিয়েছিলেন যে, যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করলে শতাধিক বছরের পুরাকীর্তি হিসেবে ভবনটি সংরক্ষণ করা যাবে। অথচ নতুন ভবনের জায়গার অভাবের কথা বলে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহের জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার ও তার ভাই অভয় শংকর মজুমদার ১৮৭৮ সালে এই ভবনটি নির্মাণ করেন। ভবনটির প্রাচীন স্থাপত্য সৌন্দর্য যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করে।
জানা গেছে, গত ৯ই মে ভবনটি নিলামে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো ভবনটি না ভেঙে প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে তা সংরক্ষণের জোরালো দাবী উঠেছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শওকত আলী বলেন, ভবনটি ভেঙে ফেলা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই তাদের কাছে। কারণ ওই ভবনটি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এটি না ভাঙ্গলে নতুন ভবন নির্মাণ করা সম্ভব নয়। ভবনটির কিছু অংশ ধসে পড়ারও আশংকা রয়েছে। তাই এটি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করলেই রাজবাড়ী জেলাবাসী বেশী উপকৃত হবেন।
তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরার পরে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলছেন, এত বছরেও ভবনটি না ভেঙ্গে বিদ্যালয়টি যেহেতু তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পেরেছে-তাহলে এখনও পারবে। আর এই ভবনটি বিক্রি করে সরকারী কোষাগারে যে সামান্য কিছু টাকা জমা হবে সেই টাকার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভবনটি সংরক্ষণ করে জেলার প্রাচীন ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা।
এদিকে ভবনটি সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার পক্ষ থেকে গতকাল ১৫ই মে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এতে ভবনটির সাথে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও জেলাবাসীর আবেগের বিষয়টি উল্লেখ করে ভেঙ্গে না ফেলে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের দাবী জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!