॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ১২ই মে সকাল ১০টায় জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা এবং আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরী-লঞ্চ সুষ্ঠুভাবে চলাচল নিশ্চিতকরণ ও যাত্রীদের পারাপার নিশ্চিত করতে প্রস্তুতিমূলক সভা জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম, পিপিএম-সেবা, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, গোয়লন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়াররম্যান এবিএম নূরুল ইসলাম, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে.বি.এম সাদ্দাম হোসেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা শাহ আলম, রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন, জেলা জাসদের(ইনু) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ নিজাম মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহ্রাব, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান, সাংবাদিক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ও রবিউল ইসলাম মজনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, লঞ্চ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসকে মোঃ শওকত আলী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ টাক্সফোর্সসহ যারা কাজ করছেন তাদেরকে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। রাজবাড়ী জেলা সীমান্তবর্তী জেলা না হলেও বর্তমানে মাদক কারবারীরা এই জেলাকে মাদক পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। যার কারণে দেখা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় ফেনসিডিলের চালান ধরা পড়ছে। মাদক কারবারীরা যাতে ফেনসিডিলের রুট হিসেবে এই জেলাকে ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে মাদক নিয়েন্ত্রণে কাজ করা সকল সংস্থাকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ভেজাল খাদ্য রোধে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু বাজারে অনেক বিদেশী পণ্য বিক্রি হলেও অদৃশ্য কারণে জেলা কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তাগণ কোন ধরণের অভিযান পরিচালনা করছে না। বাজরে যাতে সরকারী ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে চোরা পথে আনা বিদেশী পণ্য বিক্রি হতে না পারে সেই লক্ষ্যে কাস্টমস বিভাগকে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। গত এক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত এক বছরে রাজবাড়ী জেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রায় ২০জন প্রাণ হারিয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই অসতর্কভাবে রেললাইনের উপর বসে থাকা, ঘুমানো, কানে হেডফোন ব্যবহার বা ট্রেন দেথা স্বত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে রেলক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টার কারণে দুর্ঘনায় পতিত হয়েছেন। যা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। আমি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিগণ, উপজেলা নির্বাহী কমকর্তাগণ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে এ বিষয়ে উপজেলার সকল অনুষ্ঠানে জনগণকে সচেতন করার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক বলেন, কিছুদিন পরই আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবো। ঈদের সময় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রী পারাপার হবে। সেই পারপার নির্বিঘœ করতে কিছু দিন আগে ঢাকায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমি এবং রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান অংশগ্রহণ করে দৌলতদিয়া ঘাটের সার্বিক বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম। সেই সভায় আমাদেরকে জানানো হয়েছে আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া ঘাটে ১১টি রো-রো ফেরীসহ মোট ২০টি ফেরী যানবাহন পারপারে নিয়োজিত থাকবে। কোন অবস্থাতেই যাতে কম ফেরী চলাচলের কারণে যানবাহন পারাপারে বিঘœ সৃষ্টি না হয় সেই লক্ষ্যে কয়টি ফেরী চলাচল করছে সেই বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে। এ সময় কারো গাফিলতির কারণে ফেরী চলাচল বিঘিœত হলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রয়োজনে মন্ত্রী পর্যন্ত বিষয়টি অবগত করা হবে। সেই জন্য ঘাট ও ফেরী সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটের লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে ৩৩টি লঞ্চ চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করি এবার তারা তাদের প্রতিশ্রুত ৩৩টি লঞ্চ দিয়েই যাত্রী পারাপার করবে। বর্তমানের মতো ২৫টাকা করে ভাড়া আদায় নির্ধারণ করা হয়েছে। লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পারাপার করা হবে। কোন অবস্থাতেই লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিংবা অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার মেনে নেয়া হবে না। সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ তদারকি করা হবে।
তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, কাঠালবাড়ী-শিমুলিয়া ঘাটের রাস্তা ছয় লেনে সম্প্রসারণের কাজ চলমান থাকার কারণে এবার ঐ রুট দিয়ে আগের তুলনায় কম যানবাহন পারাপার করা সম্ভব হবে। যার কারণে গত ঈদের তুলনায় এবাবের ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে অনেক বেশী সংখ্যক যানবাহন ও যাত্রী পারপার হবে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বর্তমানে দৌলতদিয়ায় যে ৬টি ফেরী ঘাট সচল আছে সেগুলো যাতে ঈদের সময়ও সচল থাকে সে ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’কে পর্যাপ্ত ড্রেজিং করাসহ প্রয়োজনীয় লোকবল রাখতে হবে। সড়ক বিভাগকে এপ্রোচ রোড, বাইপাস সড়ক ও দৌলতদিয়া ঘটে যাওয়ার যে সড়ক আছে সেগুলো মেরামত করতে হবে। যাত্রীদের জন্য প্রতিবারের ন্যায় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ যে টয়লেট, ড্রেন পরিষ্কার ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করে সেগুলো করতে হবে। এক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সররবরাহ ঠিক রাখতে বিআইডব্লিউটিএ’র জেনারেটর প্রস্তুত রাখাসহ ওজোপাডিকো’কে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কোনভাবেই যাতে ঘাটের অন্তত এক কিলোমিটার এলাকা ভাঙ্গনের সম্মুখীন না হয় সেদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ঘাটের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। ফেরী ঘাটে প্রবেশের সময় ৩টি সারিতে যানবাহনের সিরিয়াল মেইনটেইন করে যেতে দেয়া হবে। যাওয়ার সময় বাম দিকের রাস্তার সর্বকোনে মালবাহী ট্রাকের লাইন, তার পাশে পরিবহন বাস ও পচনশীল কাঁচামালের ট্রাকের লাইন থাকবে এবং ডান পাশের যানবাহন বের হওয়ার লাইন রেখে ডান দিকের শেষে ছোট গাড়ী, লোকাল বাস ও ভিআইপি যানবাহনের লাইন থাকবে। কোন অবস্থাতেই ডান দিকে যানবাহন বের হওয়ার লাইনে কোন গাড়ীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই নিয়ম অমান্য করে যদি কোন গাড়ী ডান দিকের রাস্তা দিয়ে চলাচলের চেষ্টা করে তাহলে সেই সকল যানবাহনের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে জন্য আজকের রাত থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট কাজ করবে। রাজবাড়ীর পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের বক্তব্য মতে, আগের ঈদের ন্যায় এবারও বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী লোকাল যানবাহনে প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হবে। প্রতিটি লোকাল বাস কাউন্টারের সামনে ভাড়ার তালিক টানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, ভাড়া যা টানিয়ে দেওয়া হয় তার থেকে বেশী ভাড়া নেওয়া হয়। যদি কোন যাত্রী বেশী ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করে বা দায়িত্বে নিয়োজিত মোবাইল কোর্ট কিংবা আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত কেউ বিষয়টি প্রমাণসহ ধরতে পারে তাহলে সেই যানবাহনের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত ঈদে দেখা গেছে সুযোগের ব্যবহার করে মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচলকারী মাহেন্দ্রর চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে তিন-চারগুণ ভাড়া নিয়েছে এবং কোন আইন না মেনে অবাধে যেখান-সেখান দিয়ে গাড়ী ঢুকিয়ে যানজট সৃষ্টি করেছে। এবার আইন না মেনে থ্রি-হুইলার যানবাহনগুলো দৌলতদিয়া ঘটে যানজট সৃষ্টি করলে বা যাত্রীদের জিম্মি করে নির্দিষ্ট ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে সেই গাড়ী আটক রাখাসহ চালককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেলে দেওয়া হবে। মাহেন্দ্র মালিকদের দাবী অনুযায়ী গোয়ালন্দ পৌরসভা ও রাজবাড়ী পৌরসভা তাদের কাছ থেকে স্থানীয় সরকারের গেজেট মোতাবেক ১০ টাকা করে ইজারা নেওয়ার কথা থাকলেও তারা সেই আইনের তোয়াক্কা না করে ৫০ টাকা করে ইজারা নিচ্ছে, যার কারণে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া নিচ্ছে। বিষয়টি সকল পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে। কোন অবস্থাতেই যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। চলন্ত ফেরীর জুয়া বন্ধ ও যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে পণ্যের দাম এমআরপি মূল্যের চেয়ে বেশী রাখা না হয় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও ঈদের সময় দৌলতদিয়া ঘাটকে সচল রেখে যাত্রীদের পারপার নির্বিঘœ করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বলেন, জেলা পুলিশসহ আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে গত ঈদের ন্যায় এবারও দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাত্রীরা যাতে নির্বিঘেœ বাড়ী যেতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে। অন্য কোন কারণে নয়- অনেক সময় পর্যাপ্ত ফেরী না থাকা, ফেরী আস্তে চলা, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফিরে আসতে দেরী করা ও লোড-আনলোডে সময়ক্ষেপণের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। অনেক সময় আবার রাতে ট্রাক ড্রাইভাররা আইন না মানার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। এই জন্য যানজট নিরসন করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। আবার অনেক সময় অনেকে তার গাড়ীটি ভিআইপিভাবে পার করার জন্য আমাকে রাতে অসংখ্য বার ফোন করেন। দেখা যায় তার গাড়ীটা পার করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হয়। সেটি না করলে তিনি মনঃক্ষুন্ন হন। এই বহুবিধ সমস্যা ঘাটে প্রতিনিয়ত পোহাতে হয়। আবার রাত ১২টার পরে বিআইডব্লিউটিসির লোক না পাওয়ার কারণে তাদের গাড়ী সিরিয়াল করে দেওয়ার কাজটিও পুলিশকে করতে হয়। সেই কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেক গাড়ী লাইন ভেঙ্গে ডান দিক দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়, এতে ডান দিকের গাড়ী আর যেতে পারে না। এ রকম বহুবিধ কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ঘাটের সকলকে তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করলে যানজট অনেক কমে আসবে। বিষয়টি অনেকে না বুঝে ঘাটে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে মন্তব্য করে। তাদের বোঝা উচিত, যদি ঘাট সচল না থাকতো তবে যাত্রীরা গত ঈদে ও এর পরবর্তী সময়ে এতদিন কিভাবে এই রুটে চলাচল করতো। সুতরাং কোন বিষয়ে মন্তব্য করার আগে অবশ্যই আমাদের ভেবে মন্তব্য করা উচিত। আবার গত ঈদে দেখা গেছে মাহেন্দ্রসহ বিভিন্ন যানবাহন আইন লঙ্ঘন করে ডান দিক দিয়ে গাড়ী ঢুকিয়ে যানজট সৃষ্টি করেছে। এবার এই রকম কেউ করলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে গতবারের ন্যায় এবারের আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া ঘাটে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান এবং যাত্রীদের যে কোন প্রয়োজনে ঘাটে দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়াও সভায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাড়কের ফোর লেন অংশের কাজের অগ্রগতি, পৌরসভার মুরগী বাজারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অটো রিক্সা থেকে অতিরিক্ত ইজারা আদায়, বিভিন্ন হত্যাকান্ড, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ, জঙ্গীবাদ, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ ও জনসচেতনা সৃষ্টি, দৌলতদিয়া ঘাটে দালাল চক্রের গডফাদারদের দৌরাত্ম্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যার পরে বাইরে অবস্থান ও বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়াসহ জেলার আইন-শৃঙ্খলা ও ঘাট সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।