পৃথিবীর প্রায় সকল জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যের এবং আনন্দের দিন, তাদের নববর্ষের আগমনী দিন। বাঙালি জাতির ন্যায় পৃথিবীর অনেক জাতিই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান মহা ধুমধামে পালন করে থাকে। কালের পরিক্রমায় বছর ঘুরে ফিরে আসে নববর্ষ। জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে শুভ্র, সুন্দর আর কল্যাণময়তার প্রত্যাশায় উদিত হয় নতুন বছরের নতুন সূর্য। নতুন আশা ও স্বপ্নে উদ্দীপ্ত হয় মানুষ। বুক বাঁধে পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুন সাফল্যের প্রত্যাশায়।
বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক ও সার্বজনীন উৎসব হলো পহেলা বৈশাখ, বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এ দিনটি প্রতিটি বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে উৎসবের আমেজ। এ উৎসব বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, রীতি-নীতি, প্রথা, আচার-অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক। বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এ দিনে পুরনো বছরের ব্যর্থতা, নৈরাশ্য, ক্লেদ-গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরকে মহা আনন্দে বরণ করে নেয় সমৃদ্ধি ও সুখময় আগামীর প্রত্যাশায়।
সকল ধর্মের, সকল বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠায় অকৃত্রিম ভূমিকা রেখেছে পহেলা বৈশাখ। বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ মিশে আছে আমাদের চেতনায়, আমাদের মনে, মননে। প্রাণের এই পহেলা বৈশাখ উৎসবমূখর ও বর্ণিল করে তুলতে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন আয়োজন করেছে নানা কর্মসূচি। বাংলা নববর্ষ, ১৪২৬ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, রাজবাড়ীর পক্ষ থেকে রাজবাড়ীবাসীকে জানাচ্ছি আন্তরিক বৈশাখী শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।
মুুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে বাংলা নববর্ষ, ১৪২৬ আমাদের ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এ প্রত্যাশা করছি।
নববর্ষের আহ্বানে পুরনো বছরের সব জঞ্জাল ধুয়ে মুছে যাক। নববর্ষ আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি।
মোঃ শওকত আলী
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী।