॥স্টাফ রিপোর্টার॥ যথাযথ মর্যাদায় ও গুরুত্বসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে গত ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের ৪৮তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
দিবসের প্রথমভাগে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া জাপানের স্থানীয় পত্রিকায় দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। দুপুরে টোকিওর একটি হোটেলে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. তোশিকো আবে। আরও উপস্থিত ছিলেন জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারী ফ্রেন্ডশীপ লীগের মহাসচিব এবং জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, যোগাযোগ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইচিরো সুকুদা, ডেপুটি চীফ কেবিনেট সেক্রেটারী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা, অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক-২০২০ সংক্রান্ত মন্ত্রী ইয়োশিতাকে সাকুরাদা এবং জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মিনোরু কিউচি। এছাড়া জাপানের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য, জাপানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, জাপানের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশী প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভায়োলিনের সুরে জাপান ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর অতিথিদের নিয়ে কেক কেটে রাষ্ট্রদূত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু করেন। রাষ্ট্রদূত তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাপানের স¤্রাট আকিহিতো এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতার জন্য জাপান সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা, বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ এবং সম্ভাবনা উল্লেখ করে করে জাপানী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরো বেশী বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প- ২০৪১কে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করছে।
জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. তোশিকো আবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা জানান এবং জাপান-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করাসহ রোহিঙ্গা সমস্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনবদ্য ভূমিকা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক দিনে দিনে আরও গভীর হবে। এছাড়া ইচিরো সুকুদা জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারী ফ্রেন্ডশীপ লীগের সভাপতি, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তারো আসোর শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনান। আগত অতিথিদের বাংলাদেশী বিভিন্ন রকমের উপহার প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।