জাপানের রাজধানী টোকিওতে গতকাল ২৭শে থেকে শুরু হওয়া ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড টোকিও’তে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। মেলা চলবে আগামীকাল ২৯শে মার্চ পর্যন্ত।
সকালে মেলার বাংলাদেশী প্যাভিলিয়নের স্টলগুলো পরিদর্শন এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো মেলায় বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের ১৩টি তৈরী পোশাক ও চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের উন্নত মানসম্পন্ন, আধুনিক ও রুচিসম্মত পণ্য প্রদর্শন করছে। এই মেলা দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
পরে জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে মেলার সেমিনার ভেন্যুতে ‘জাপানের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহযোগিতা করে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো), ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইউনিডো), জাপান ও টোকিও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন এবং জাপান টেক্সটাইল ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। প্রায় ১৩০ জন জাপানী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক-বিশেষ করে নীটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত যতœ সহকারে জাপানের জন্য পণ্য তৈরী করছে এবং নীটওয়্যার জাপানের এক নম্বর রপ্তানী পণ্য হওয়ায় বাংলাদেশ গর্ববোধ করে। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে জাপানে বাংলাদেশী পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৪%, যা জাপানের বাজারে সর্বোচ্চ এবং এশিয়ার মধ্যে জাপান আমাদের তৈরী পোশাক খাতের প্রথম রপ্তানী গন্তব্য। এই মেলা জাপানে বাংলাদেশী উন্নতমানের পণ্যসামগ্রীর বাজার সম্প্রসারণে এবং জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক আরো গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে জাপানের ইকোনমি, ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ইয়াসুজিরো মিয়াকে, ইউনিডো’র শিল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা ইকুয়ে তোশিনাগা, মারুহিসা কোম্পানীর প্রেসিডেন্ট মাসাহিরো হিরাইশি, বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সিলরমোহাম্মদ হাসান আরিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তাগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ, বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাসমূহ ও জাপানে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেন এবং বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান জানান। প্রশ্ন-উত্তর ও বিজনেস নেটওয়ার্কিং পর্বের মাধ্যমে সেমিনার সমাপ্ত হয় -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।