মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

ছাইয়ের কারখানায় অগ্নিকান্ডে ১২লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের দর্পনারায়নপুর গ্রামে জেলার একমাত্র চারকল(পাটাকাঠি পুড়িয়ে ছাই তৈরী) কারখানায় গতকাল ১৫ই ফেব্রুয়ারী ভোর ৪টায় রহস্যজনক অগ্নিকান্ড ঘটে।
অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সাড়ে ৫ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনে ১২লক্ষাধিক টাকার ক্ষক্ষতি হয়েছে। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবী এটি একটি নাশকতা।
চারকলের কর্মরত লোকজন জানান, গতকাল বুধবার ভোররাত চারটার দিকে নৈশ প্রহরীর চিৎকারে উঠে আমরা আগুন দেখতে পাই। সাথে সাথে খবর দেওয়া হয় রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসকে। ভোর ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দল আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
কারখানার সুপার ভাইজার রকিবুল ইসলাম জানান, স্তুপে পাটিকাঠি পুড়িয়ে পাওয়া কয়লা থেকে তৈরী বিশেষ ধরনের এক হাজার ৮০০বস্তা পাউডার ছিল। ওই পাউডার চীনে রপ্তানি করা হয়। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে এসব পণ্য যাওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ স্তুপ করে রাখা পাউডারের খামালে এভাবে কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়া ছাড়া আগুন লাগার কথা নয়। কারণ এখানে কারখানা করার পর থেকে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের বাঁধা সৃষ্টি করে আসছিল। অল্পের জন্য কারখানার মূল শেডটি রক্ষা পায়। না হলে পুরো কারখানাটি ধ্বংস হয়ে যেত। এতে অন্ততঃ ১২লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ ইন্সেপেক্টর মাজহারুল ইসলাম জানান, ভোর পাঁচটা থেকে কাজ শুরু করে সকাল সাড়ে দশটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে কোন বিড়ির আগুন থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এতে আট লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন। এছাড়া তাদের তৎপরতার কারণে ৬০ফুট চওড়া ও ১৪০ফুট লম্বা মূল কারখানাটি আগুন থেকে তারা রক্ষা পেয়েছে।
উল্লেখ্য, পাট কাঠি পুড়িয়ে ছাই(পাউডার) তৈরীর কারখানাটি চলতি বছরে চালু হয়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাটকাঠি ক্রয় করে এনে এই কারখানায় প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। চীনে উক্ত ছাই দিয়ে কার্বন পেপার ও ফটোকপি মেশিনের কালি তৈরী করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!