রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

নির্বাচনে মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে ঃ আরডিসি জরিপ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে। এছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯ এবং স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য প্রার্থীরা ৩টি আসনে বিজয়ী হতে পারে।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার(আরডিসি’র) এক জরিপে এই পূর্বাভাসের কথা বলা হয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ৯ তারিখ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর দেশের ৫১টি সংসদীয় আসনে ২হাজার ২৪৯জন ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা এ পূর্বাভাস পেয়েছে।
আরডিসির অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসন গতকাল ২৬শে ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে, বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি আসনে এবং বাকি তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হতে পারে।
জরিপে ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ভোটারদের ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে ভোট দিয়েছে ২২ শতাংশ ভোটার। জাতীয় পার্টির পক্ষে ভোট পড়েছে ৪ শতাংশ। এই ভোটে ১০ শতাংশ মানুষ কাকে ভোট দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি। আর ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে অস্বীকৃতি এবং ১শতাংশের কম ভোটার ভোট দেওয়ার অনিচ্ছা জানিয়েছে।
ফলাফলে আওয়ামী লীগকে ভাল বলেছে, ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ এবং খারাপ বলেছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। বিএনপিকে ভাল বলেছে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ এবং খারাপ বলেছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ। জাতীয় পার্টিকে ভাল বলেছে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ এবং খারাপ বলেছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
এ জরিপে ২০১১ সালের উপজেলা জনসংখ্যা শুমারির তথ্যকেই নমুনা হিসেবে নেয়া হয়। দৈবচয়িতভাবে উপজেলা বাছাই করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য শুমারীর তথ্যকেই ব্যবহার করা হয়।
এভাবে একবার উপজেলা বাছাইয়ের পর, গ্রামের সংখ্যা ও পাড়াগুলো সেই শুমারি থেকেই নির্বাচন করা হয়। ভোটার তালিকা ব্যবহারের মাধ্যমে আরডিসির নমুনা নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে প্রতিটি ভোটারের সাক্ষাতকার দাতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সমান সম্ভাবনা থাকে।
আরডিসির তথ্য সংগ্রাহক উত্তরদাতাদের ধর্ম ও বয়স চিহ্নিত করেছিল। জরিপে লাল রঙের ব্যালট নারী এবং নীল পুরুষদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে যেখানে মহাজোট ভোট পেয়েছিল ৫৭ শতাংশ, বিএনপি গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স ৩৭ শতাংশ এবং অন্যান্য ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলো এই ফলাফল অনেকটা তারই ধারাবাহিকতা।
মহাজোটের সমর্থন বড় শহর এবং গ্রামীণ এলাকার তুলনায় ছোট শহরে তুলনামূলকভাবে দুর্বল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (জেওএফ)-এর সমর্থন বড় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চল ও ছোট শহরে শক্তিশালী।
বিশ্লেষণটি বিগত ২৭ বছর ধরে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পরিবর্তনের হিসাবকে মাথায় রেখে করা। এর আগে ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জরিপের পূর্ববর্তী সংস্করণে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাভাস সঠিকভাবে দেয়া হয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!