॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা জাতীয় পার্টির সম্প্রতি অনুমোদিত আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা গতকাল ১২ই ডিসেম্বর দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এডঃ খোন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব শাহাদত হোসেন মিল্টনের পরিচালনায় সভায় যুগ্ম-আহ্বায়ক আসাদুল হক মিলন, ফিরোজ মুজাহিদ, আশরাফুল হক, আবুল হোসেন, হামিদুল হক বাবলু, মাওলানা লুৎফর রহমান, সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান হাসান, হেলাল মাহমুদ, জেলা শ্রমিক পার্টির সভাপতি আক্কাস আলী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভা চলাকালে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীও প্রার্থী ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী সেখানে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সভায় জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আলহাজ্ব শাহাদত হোসেন মিল্টন বলেন, রাজবাড়ী-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আক্তারুজ্জামান হাসান দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মনে কষ্ট পেয়েছিলাম। তবে আজকের সভায় তার মুখ থেকে প্রকৃত কারণ জানার পর সেই কষ্টটা দূর হয়েছে। এখন আমরা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর পক্ষে নির্বাচন করবো। আগামী শুক্রবার বেলা ১১টায় এই পার্টি অফিসেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত সঙ্গে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার সভাপতি ও সেক্রেটারীসহ আমরা দুইজন (আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব) বসবো। সেখানে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার পলিসি নির্ধারণসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যাতে প্রতিটি ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে জোটগতভাবে কাজ করতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হবো। এছাড়া খানগঞ্জ, চন্দনীসহ কয়েকটি স্থানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মামলায় জড়ানো নিয়ে যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে সেই বিষয়েও উদ্যোগ নিয়ে সেসব মিথ্যা মামলা থেকে নেতাকর্মীদের মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে।
সভায় রাজবাড়ী-২ আসনের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে কি ভূমিকা পালন করবে সে বিষয়ে ওই তিন উপজেলার (পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি) নেতারাই সিদ্ধান্ত নিবেন। তাদের উপরেই বিষয়টি ছেড়ে দেয়া হয়েছে।