॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ গোয়ালন্দে বিএনপি’র নির্বাচনী মতবিনিময় সভা চলাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় ১৫জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সোমবার বিকালে গোয়ালন্দ বাজার রেলস্টেশন চত্ত্বরে উপজেলা বিএনপির’র সভাপতি সুলতানুর ইসলাম মুন্নুর ব্যবসায়িক কার্যালয়ের সামনে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত বিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল। সভা চলাকালে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত লোহার রড, রামদা, লাঠিসোঠা সহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারধর ও ভাংচুর করে। হামলায় মহিলা কর্মীসহ বিএনপির প্রায় ১৫/২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সুলতানুর ইসলাম মুন্নুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলু ও পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী খান জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতবিনিময় সভা চলাকালে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম আসার পূর্বেই সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে শহিদুল ইসলাম বাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জামাল মোল্লা, দেবগ্রাম ইউনয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হানিফ আলী, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি রুস্তম মোল্লা, উজানচর ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি সাদেক মেম্বার, জেলা ছাত্রদল নেতা মিঠু, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহন মন্ডল, উপজেলা মহিলা দলের নেত্রী ডালিম বেগম, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন মহিলা দলের সাদারন সম্পাদক সিমা আক্তার সহ ১৫/২০ জন নেতা কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা গ্রেপ্তারের ভয়ে ফরিদপুর সমরিতা হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন আছেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলু আরো বলেন, হামলাকারীরা উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
তবে হামলার বিষয় অস্বীকার করে গোয়ালন্দ উপজেলা গোয়ালন্দ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, বিএনপি’র সভায় কারা হামলা করেছে তা আমাদের জানা নেই। তবে আমরা শুনেছি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত আসলাম গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে সভাস্থলে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এখন তারা নির্বাচনী ফায়দা নেয়ার জন্য এ ঘটনা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোঃ এজাজ শফী জানান, বিএনপির সভাস্থলে কি কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা নাই। তবে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনাসহ ১জনকে আটক করা হয়েছে।