॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সরকারী কাজে বাঁধা ও দুই পুলিশকে মারপিট করে আহত এবং ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে গেলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক শিকদার ওরফে ভিপি মালেক।
গতকাল ২০শে নভেম্বর রাজবাড়ীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আরাফাত হোসেন তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সুত্র জানান, গত ৮ই সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী শহরের আজাদী ময়দানের সন্নিকটে পাকা রাস্তার উপর বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা লাঠিশোঠাসহ সমবেত হয়ে বিভিন্ন উস্কানীমুলক শ্লোগান দিয়ে যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশ তাদেরকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে নিষেধ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে বাধা উপেক্ষা করে রাস্তায় চলাচলরত ২/৩টি রিক্সা ভাংচুর করে। এতে চলাচলরত জনসাধারণ আতংকগ্রস্ত হয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এ সময় তাদের নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলের আঘাতে কনস্টেবল হেদায়েত ও রফিকুল ইসলাম জখমপ্রাপ্ত হয়। তখন পুলিশ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান লাল ও সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনসারীকে গ্রেফতার করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।
এ অভিযোগে গত ৯ই সেপ্টেম্বর ৩২জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আরো ২০/৩০জনকে আসামী করা হয়।
এ মামলায় চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক শিকদার হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। জামিনের সময় সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় গতকাল ২০শে নভেম্বর তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন। কিন্তু তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।