॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের চরপোটরা গ্রাম থেকে গত ২৮শে আগস্ট সকালে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
একই সাথে সনাক্ত হয়েছে নিহত যুবকের পরিচয়। উদ্ধার করা হয়েছে নিহতের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোটর সাইকেল। গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনার সাথে জড়িত ২জনকে। আদালতে সোপর্দ করার পর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়ে ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছে।
বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত যুবকের নাম শাকিল (২২)। সে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ঃ একই এলাকার(সাতৈর) মৃত আকমল শেখের ছেলে বক্কার শেখ(২৫) এবং বালিয়াকান্দি উপজেলার অভয়নগর গ্রামের আক্কাস শেখের ছেলে শিপন শেখ (২৫)।
পুলিশ জানায়, ফল ব্যবসায়ী শাকিলের সাথে একই এলাকার বক্কারের স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে বক্কার তাকে খুনের পরিকল্পনা করে শিপনের সহায়তা নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৭শে আগস্ট বিকালে শিপন কৌশলে সাতৈর বাজার থেকে শাকিলকে বালিয়াকান্দির জঙ্গল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধে নিয়ে আসে এবং রাতে ফলের জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে বক্কার ও শিপন দু’জনে মিলে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর তারা পাশের বিলের মধ্যে লাশ কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রেখে শাকিলের ভাড়াকৃত মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ২৮শে আগস্ট সকালে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে এবং এ সংক্রান্তে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
তদন্তের একপর্যায়ে থানা পুলিশ ঘটনার ক্লু উদ্ধারে সক্ষম হয় এবং গত ২৯শে অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই কায়ছার হামিদ, থানার এস.আই দীপন কুমার, এস.আই হিরণ কুমার বিশ্বাস, এএসআই সোহেল এবং এএসআই আজিজ সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে আসামী বক্কার ও শিপনকে গ্রেফতার করাসহ নিহত শাকিলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে। গ্রেফতারের পর বক্কার ও শাকিল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু স্বীকার করে। গতকাল ৩০শে অক্টোবর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।