॥রঘুনন্দন শিকদার॥ বিয়ের মেহেদীর রঙ না শুকাতেই বালিয়াকান্দিতে মিতা খাতুন(২০) নামে এক নববধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ৫ই ফেব্রুয়ারী দুপুরে শালমারা গ্রামের শ্বশুর বাড়ী থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শ্বশুর বাড়ীর লোকজন বলছে মিতা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত মিতা শালমারা গ্রামের মোস্তাক ফকিরের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের শামসুল শেখের মেয়ে। সে বালিয়াকান্দি কলেজের ডিগ্রী শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত ছিল।
স্থানীয়রা জানান, মাত্র ২মাস আগে মোস্তাক ফকিরের সাথে মিতার বিয়ে হয়। মোস্তাকের বড় ভাই বিদেশে থাকায় সে তার ভাবীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মিতা বিষয়টি টের পেলে তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এ কলহের জের ধরে গতকাল রবিবার সকালে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন।
এদিকে একটি সুত্র জানায়, ভাবীর সাথে অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক দেখা ফেলায় মিতার সাথে মোস্তাকের তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে মিতা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়।
মিতার চাচা বজলুর রহমান জানান, তার ভাতিজীকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহিদুল ইসলাম,পিপিএম জানান, দুপুর ১টার দিকে শ্বশুর বাড়ী থেকে মিতা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না এটি হত্যা না আত্মহত্যা। মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিতার স্বামী মোস্তাক ফকিরকে থানায় আনা হয়েছে।