॥কাজী তানভীর মাহমুদ॥ রাজবাড়ীর সাবেক কৃতি ফুটবলার ও ক্রীড়া সংগঠক এনায়েতুর রহমান মনা আর নেই(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গতকাল ২৬শে অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে রাজবাড়ী শহরের ধুঞ্চি’র নিজ বাড়ীতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ২কন্যা রেখে গেছেন। সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তার মরদেহ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে রাখা হয়।
মরহুমের ভাগ্নে সাবেক সচিব ও ঢাকা বিভাগের সাবেক কমিশনার এম. বজলুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল কুদ্দুস বাবু, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী রাকিবুল হোসেন শান্তনু এবং পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল কৃষ্ণ চক্রবর্তী শেখর, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়গণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জানাযার পূর্বে সাবেক সচিব এম.বজলুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি মরহুমের বর্ণিল ক্রীড়া জীবনের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তারা এনায়েতুর রহমান মনা’র রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
রাত ৮টায় সেখানেই প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের ইচ্ছানুসারে কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ নুরুল আলম নামাজের ইমামতি করেন। এরপর রাত ১০টায় ধুঞ্চি সিলিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাযার নামাজ শেষে তার মরদেহ আটাশ কলোনী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুম এনায়েতুর রহমান মনা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খী ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি আশির দশকের সাড়া জাগানো একজন ফুটবলার এবং পরবর্তীকালে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ব্যাপক অবদান রেখে গেছেন।
এছাড়াও তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। তার মৃত্যুতে জেলা ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।