॥রফিকুল ইসলাম/রাকিবুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম গতকাল ২০শে অক্টোবর বিকালে কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের সুন্দরকান্দি সার্বজনীন জটাধর মহাশ্মশানে আয়োজিত শুভ বিজয়ার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে পর সুইচ টিপে বাতি জ্বালিয়ে জটাধর মহাশ্মশানসহ ৫টি গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ উদ্বোধন করেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক এশারত আলী মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাংশা পৌরসভার মেয়র আব্দুল আল মাসুদ বিশ্বাস, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম গোলদার এবং মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সুন্দরকান্দি সার্বজনীন জটাধর মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি সুকুমার প্রামানিক, সাধারণ সম্পাদক সুরেস প্রামানিক ও শুভ বিজয়ার পুনর্মিলনী উদযাপন অনুষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ কুমার প্রমানিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, নমিনেশন নিয়ে কেউ কেউ গুজব ছড়াচ্ছে। কেউ বলছে নমিনেশন নিয়ে এসেছে, কেউ বলছে নমিনেশন নিয়ে আসার পথে। কেউ কেউ আবার গুজব ছড়াচ্ছে আমি নাকি নমিনেশন না পেয়ে সপরিবারে দেশ ত্যাগ করছি। এসব গুজবে কেউ কান দিবেন না। যথাসময়েই সুষ্ঠুভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। তখন বর্তমান সংসদ বহাল থাকবে, এমপিরাও স্বপদে বহাল থাকবেন। মদাপুরে গুজব ছড়ানোর একজন মাস্টার আছে। লোকজন তাকে সলিট-চিটার হিসেবে চেনে। সেও নমিনেশন চায়। তার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগ করে না। তার শ্বশুর পাংশা উপজেলা বিএনপি নেতা ও জেলার শ্রেষ্ঠ একজন সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার জন্য খ্যাতনামা একজন কলামিষ্ট সুপারিশ করে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ওই কলামিষ্ট একদিন তার জনপদ নামক পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কথা লিখেছে। আজ সে সলিট-চিটারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয়ে জামায়াত ও বিএনপি ঘরোনার একটি চক্র নমিনেশন নিয়ে এলাকার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিম আরো বলেন, নমিনেশনের ব্যাপারে যা হওয়ার তা হয়ে রয়েছে। চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাত দিয়েই সকল উন্নয়ন হবে। একসময় মদাপুরে একটি রাস্তাও পাকা ছিল না। প্রতিনিয়ত এ জনপদ চরমপন্থীদ্বারা রক্তাক্ত হতো। আমি এমপি হবার পর এই ইউনিয়নে পুলিশ ফাঁড়ির জায়াগা দিয়েছি। এই ইউনিয়নের প্রায় সকল রাস্তা পাকা করে দিয়েছি। এখন জনগন শান্তিতে আছে। এটা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে। শুধু মদাপুর বা কালুখালী নয়-কিছুদিনের মধ্যেই দেশের শতভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়ন হবে। দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। আপনারা সঠিকভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। কোন অপচয় করবেন না। কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানাবেন। তিনি জটাধর মহাশ্মশানে জন্য একটি সোলার প্যানেল স্থাপনের ঘোষণা দেন।
এছাড়াও তিনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে এলাকাবাসীর প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে মদাপুর ইউয়িনের ৫টি গ্রামের(কাটাবাড়ীয়া, দুর্গাপুর, সূর্যদিয়া, শিবানন্দপুর ও মদাপুর) ২৬৪টি পরিবার পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পেল।