॥বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গ্রাম জামালপুর ও আলোকদিয়া সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে এবারও বৃহৎ আঙ্গিকে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
এবারের পূজায় প্রদর্শিত হবে ৩শতাধিক দেব-দেবীর মূর্তি। ৪হাজারের অধিক বাঁশ ব্যবহার করে তিন মাস ধরে চলছে স্পট ডেকোরেশন ও মূর্তি তৈরী শেষে এখন তা রং করাসহ শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে।
আগামী ১৫ই অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে বাঙালী হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। এবারও ভিন্ন আঙ্গিকে আর্কষনীয়ভাবে গ্রাম জামালপুর ও আলোকদিয়া সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে যে পূজার আয়োজন করা হয়েছে মহাভারত ও রামায়নের কাহিনী অবলম্বনে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি প্রদর্শিত হবে। দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য শাপলা চত্বর, জলের ফোয়ারা ও বিভিন্ন রং-বেরঙের আর্কষনীয় জল পরী প্রদর্শিত হবে।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ কুমার বিশ্বাস জানান, ৮টি স্পটে ৩শতাধিক দেব-দেবীর মূর্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে পূজা আয়োজনের কাজ চলছে। প্রায় তিন মাস ধরে প্রতিমা শিল্পীসহ ৩০জন লোক ৪হাজার বাঁশ ব্যবহার করে বিভিন্ন কাঠামো তৈরী এবং মূর্তি তৈরীর পর এখন তা রং করা ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে ভিন্ন আঙ্গিকে অনেক দেব-দেবীর মূর্তি প্রদর্শিত ও এলাকার সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে বিধায় পূজা শেষেও ৪/৫দিন দর্শনার্থীদের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। লক্ষ্মী পূজার দিন এর সমাপ্তি ঘটে।
মন্দির কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, এলাকার সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা হওয়ায় অনেক ভক্তবৃন্দ ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। পূজা ও প্রদর্শনী চলাকালীন দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সর্বদা পূজা কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করে। এই পূজা যাতে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে হতে পারে সে জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি হাসিনা বেগম জানান, আসন্ন দুর্গাপূজায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষ করে জামালপুরের বৃহৎ পূজাটিতে বিশেষ নজরদারী থাকবে। আমি এবং পাংশা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার একাধিকবার মনিন্দরটি পরিদর্শন করেছি।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা জানান, উপজেলায় দুর্গাপূজা মনন্ডপগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারীর মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। জামালপুরের পূজাটির ব্যাপারে বিশেষ নজর থাকবে।