॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ক্যাম্পাসে অবস্থিত নার্সিং ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী নার্সকে যৌন হয়রানী করায় ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী মোঃ রফিকুল ইসলামকে জুতা দিয়ে পেটানোসহ জুতার মালা পড়ানোর ঘটনায় ওই ছাত্রীদের ছাত্ররত্ব বাতিলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে গতকাল ১৮ই সেপ্টেম্বর দুপুরে রফিকুল ইসলামের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা।
ছাত্রীরা জানান, ছাত্রী নার্সকে যৌন হয়রানীকে করায় গত ১৬ই সেপ্টেম্বর দুপুরে নার্সিং ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী মোঃ রফিকুল ইসলামকে জুতা দিয়ে পেটানোসহ জুতার মালা পড়ানো হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা জানতে পারি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক স্বপ্ন কুমার কুন্ডু আমাদের ছাত্ররত্ব বাতিল করবে। এনিয়ে গতকাল ১৮ই সেপ্টেম্বর দুপুরে তার কক্ষে মিটিংও করা হয়। এর প্রতিবাদে আমরা নার্সিং ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী মোঃ রফিকুল ইসলামের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছি।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ক্যাম্পাসে অবস্থিত নার্সিং ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী নার্সকে যৌন হয়রানী করায় গত ১৬ই সেপ্টেম্বর দুপুরে ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম তার নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ করে ছাত্রীরা জুতা পেটা করাসহ গলায় জুতার মালা পরিয়ে বিচারের দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সদর থানার এস.আই এনসের আলী একদল পুলিশ নিয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ঘটনার পর থেকে অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে। অভিযুক্ত অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়ার আমলা উপজেলার আড়য়াপাড়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। সে গত ৯ই বছর যাবৎ এই নার্সিং ইনস্টিটিউটে চাকুরী করে আসছে।